মীর কাসেমের ফাঁসি বহালে উদীচীর সন্তোষ

ঢাকা : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চট্টগ্রাম অঞ্চলে আলবদর বাহিনীর প্রধান সংগঠক ও জামায়াতের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষক মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডের রায় আপিল বিভাগে বহাল থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।

মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে উদীচী’র সভাপতি কামাল লোহানী এবং সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সরদার এ সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে উদীচী নেতৃদ্বয় জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া সর্বোচ্চ রায় আপিল বিভাগে বহাল থাকার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামে মীর কাসেম আলীর নেতৃত্বে নির্যাতনের শিকার মানুষ এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে।

আইনি সব জটিলতা কাটিয়ে অবিলম্বে মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করার দাবি জানিয়ে উদীচীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মীর কাসেম আলীর মালিকানাধীন ও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন সকল অর্থনৈতিক এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রায়ত্ত্বকরণের মাধ্যমে জামায়াতের অর্থের সরবরাহ বন্ধ করার ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য  সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামে আলবদর বাহিনীর অন্যতম প্রধান সংগঠক ছিলেন মীর কাসেম আলী। পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি ইসলামী ছাত্রসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনসহ নানা অপরাধের জন্য তার বিরুদ্ধে মোট ১৪টি অভিযোগ আনা হয়, যার মধ্যে ১০টি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। সেগুলোর মধ্যে দু’টি অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিলেও আপিল বিভাগের রায়ে একটি অভিযোগে ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। এছাড়া, খালাস দেয়া হয়েছে তিনটি অভিযোগ থেকে। চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষদের ধরে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে হত্যা এবং লাশ গুমের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী ছিলেন মীর কাসেম আলী।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.