হুমকি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

কক্সবাজার : দেশের স্বাধীনতা, সংবিধান, সার্বভৌমত্ব এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ অক্ষুণ্ণ রেখে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সব ধরনের হুমকি ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রামুতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের নবগঠিত সদর দপ্তর দুই পদাতিক ব্রিগেডের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেনাবাহিনীর অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি প্রতিটি সদস্যের পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের সরকার। জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতির বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীকে আরো যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি প্রতিটি সদস্যের নৈতিক ও মানসিক শক্তি এবং পেশাগত জ্ঞান বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘সমুদ্রবেষ্টিত কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর নতুন এই ইউনিট অবহেলিত মানুষের সেবায় কাজ করবে।’

বাংলাদেশের নতুন সমুদ্রসীমায় নজরদারি বৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা রক্ষায় তাগিদ ছিল সমুদ্র তীরবর্তী জেলা কক্সবাজারে সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর। সেইসঙ্গে অতীতে মৌলবাদী হামলার শিকার রামু এবং আশপাশের এলাকার শান্তিরক্ষার কথা মাথায় রেখে এক বছর আগে যাত্রা শুরু করে রামু সেনানিবাস।

নতুন এই সেনানিবাসে যুক্ত হলো নতুন পদাতিক ব্রিগেডসহ সতটি নতুন ইউনিট। সেনানিবাসে এসে নতুন এসব ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশেরে যে অগ্রযাত্রা তা ধরে রাখতে হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ আমরা নিজস্ব অর্থায়নে শুরু করেছি। আমাদের লক্ষ্য দেশকে আমরা উন্নত করবো।’

পরে সেনানিবাস এলাকায় একটি নতুন সড়ক ও একটি স্মৃতিস্তম্ভসহ মোট চারটি স্থাপনার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবগঠিত ১০ পদাতিক ডিভিশনের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেলা ১২টায় কক্সবাজারের রামুতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান ডিভিশনের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা। এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সেনাবাহিনীর ওই ইউনিটের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.