সদরঘাট থানার ওসি মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া ক্লোজড

চট্টগ্রাম :   নগরীর সদরঘাট থানার বিতর্কিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়াকে দামপাড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার মোহা.আব্দুল জলিল মন্ডল। সদরঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মর্জিনা আক্তারকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আব্দুর রহিম জিল্লুকে মারধর করে থানায় আটকের ঘটনার পর ওসি মঈনুলের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) বিকেলে শাস্তিমূলক এ পদক্ষেপ নিলেন সিএমপি কমিশনার।  গত বছরের এপ্রিলে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় বিতর্কিত ভূমিকার জন্য ওসি মঈনুলকে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে খুলশী থানা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল।

সিএমপি কমিশনার মোহা.আব্দুল জলিল মন্ডল জানান, যেহেতু  অভিযোগ উঠেছে ঐ প্রেক্ষিতে ওসি মঈনুলকে ক্লোজ করা হয়েছে।

১৯ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে নগরীর সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়ায় আল ইসলামিয়া হোটেলে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহিম জিল্লুকে মারধর করেন ওসি।  মারধরের কারণে জিল্লুর নাক ফেটে গেছে।  তার মুখের বিভিন্ন স্থানে জখম দেখা গেছে।  এসময় হোটেলে জিল্লুর স্ত্রী রশ্মিও সেখানে ছিলেন।  পরে দুজনকে ধরে সদরঘাট থানায় নিয়ে যাওয়‍া হয়।  তাদের অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে আদালতে চালান দেয়ার আদেশ দেন ওসি।  খবর পেয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা থানায় হামলা চালান এবং গাড়ি ভাংচুর করেন।  তারা থানা থেকে জিল্লুকে ছিনিয়ে নিয়ে আসেন।

এ ঘটনার পর ওসি মঈনুলকে অপসারণের জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ।  অন্যথায় লাগাতার আন্দোলনের হুমকিও দেয় সংগঠনটি।

এরপর বুধবার (২৩ মার্চ) মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে সদরঘাট থানার ওসি মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.সালেকসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আব্দুর রহিম জিল্লু।

মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে সদরঘাট থানার ওসি মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করার জন্য পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেন।  এছাড়া একই আইনে তার বিরুদ্ধে নির্যাতনের শিকার ছাত্রলীগ নেতার দায়ের করা মামলাটি তদন্তের জন্য নগর পুলিশের কোতয়ালি জোনের সহকারি কমিশনার মো.মঈনউদ্দিনকে নির্দেশ দেন আদালত।

আব্দুর রহিম জিল্লু বঙ্গবন্ধু ছবি বিকৃতির অভিযোগে তিনি সংসদ সদস্য এম এ লতিফের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন।  বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির প্রতিবাদকারী সংগঠন জাগ্রত ছাত্র যুব জনত‍ার সদস্য সচিব হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.