বান্দরবানে ভূমিহীনদের মাঝে জমির দলিল হস্তান্তর

বান্দরবান প্রতিনিধি :   বান্দরবানে ভূমিহীন ম্রো জনগোষ্ঠীর ১৩২ পরিবারের মাঝে জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। ১৯০০ সালে ৫০ এর ১ ধারা মোতাবেক হেডম্যানের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি আনুষ্ঠানিকভাবে ভূমিহীন ম্রো জনগোষ্ঠীর মাঝে জমির দলিলপত্র বিতরণ করেন।অন্যদের মধ্যে বান্দরবান বাজার ফান্ডের বাজার চৌধুরী মংক্যচিং চৌধুরী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সিংইয়ং ম্রো, সুয়ালক ইউপি চেয়ারম্যান রাংলাই ম্রো’সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত  ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শান্তিচুক্তি সম্পাদনের পর পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। স্থানীয় পাহাড়িদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং আত্মসামাজিকভাবে উন্নয়ন ঘটেছে। কিন’ পাহাড়িদের অনেকের নিজের নামে কোনো জমি না থাকায় তারা এখনো নিজ ভূমিতে ভূমিহীন অবস্থায় রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘হেডম্যান রাংলাই ম্রো তার রেনিক্ষ্যং মৌজার অন্তর্গত ৫টি পাড়ায় ১৩২ ম্রো পরিবারকে ২৫ শতাংশ করে জমি বরাদ্দ দিয়ে তাদের অনুকূলে দলিল সম্পাদন করে দিয়েছেন। পাহাড়ের সব হেডম্যান এভাবে এগিয়ে আসলে ভূমিহীন পাহাড়িরা আর ভূমিহীন থাকবে না।’ হস্তান্তরিত জমির দলিল যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করে রাখতে পাহাড়িদের অনুরোধ করেন তিনি।
ভূমিহীন ইং ইয়ং ম্রো বলেন, ‘পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছি। কিন’ আমার পরিবারের নিজ নামে কোনো জমি ছিল না। আমাকে জমির দলিল দেয়া হয়েছে। এ দলিল সরকারিভাবে কতটুকু কার্যকরী তা এখনো জানি না। সরকারিভাবে দলিল পেলে তখনই খুশি হবো।
তবে রেনিক্ষ্যং মৌজার সংশ্লিষ্ট হেডম্যান রাংলাই ম্রো জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসিত হচ্ছে ১৯০০ সালের আইন অনুযায়ী। এ আইনের ৫০-এর ১ ধারা মোতাবেক মৌজার হেডম্যানরা তার অধীনস’ অধিবাসীদের জমি ও দলিল হস্তান্তর করতে পারেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ‘হেডম্যান রিপোর্ট থাকলেই তিনি জমির মালিক হবেন। দলিল সংক্রান্ত বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হবে। তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.