মরিয়ম খাল দখলমুক্ত করতে চসিক মেয়রের ৭ দিনের আল্টিমেটাম

চট্টগ্রাম :  চট্টগ্রাম নগরীর ৩৪নং পাথরঘাটা ওয়ার্ডের ওমর আলী মার্কেট এলাকার পাশ দিয়ে প্রবাহিত মরিয়ম বিবি খালের মোহনা সহ ব্যাপক এলাকা জুড়ে গাছ ফেলে দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করছে একটি মহল। বিরাট আকারের শত শত গাছ ফেলে মরিয়ম বিবি খালটি অকার্য করে রাখে বছরের পর বছর। ফলে নগরীর পানি নিষ্কাষন সম্পূর্নরূপে বন্ধ থাকে। এ ছাড়াও খালের পাড় ঘেষে নির্মিত রাস্তাও দখল করে রাখা হয়। খাল দখলের বিষয়টি অবহিত হয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন ৭ এপ্রিল ২০১৬ খ্রি. বৃহস্পতিবার, সকাল ১০ টায় স্থানীয় কাউন্সিলর ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে নিয়ে মরিয়ম খালের ওমর আলী মার্কেট এলাকায় যান।

তিনি সরেজমিনে খালের হাল চিত্র দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। মেয়র খালে গাছ ফেলে দখল করে ভরাট করার জন্য দায়ী ৫ ব্যক্তিকে তলব করেন। দখলদার ব্যক্তিরা হলেন মো. ইসমাঈল সওদাগর, মো. অদুদু চৌধুরী, কফিল সওদাগর, সামসু সওদাগর ও মো. শফি সওদাগর। তারা বছরের পর বছর খাল দখল করে খালের কার্যকারিতা নষ্ট করে নগরীর লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে দূর্বিহ করে তুলে এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে নগরবাসীকে কষ্ট দিয়ে আসছে। সিটি মেয়র সংশ্লিষ্ট গাছ ব্যবসায়ীদের ডেকে তিরস্কার করেন এবং তাদের নিজ খরচে ৭ দিনের মধ্যে গাছ সরিয়ে মরিয়ম খালকে দখলমুক্ত করতে নির্দেশ দেন।

অন্যথায় নির্দিষ্ট সময়ের পর ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আদালতের ক্ষমতাবলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে জেল জরিমানাসহ কঠোর শাস্তি আরোপ করতে বাধ্য হবে। মেয়র বলেন, ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীক স্বার্থে নগরবাসীর জীবনকে দূর্বিসহ করার অপরাধে অবৈধ দখলদারদের শাস্তি পেতেই হবে। এ থেকে রেহাই পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তিনি এ বিষয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। পরে মেয়র সিটি কর্পোরেশনের লংবোম এস্কেভেটর দ্বারা খালের মাটি উত্তোলন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।

এ সময় ৩৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসমাঈল বালি, ৩৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর লুৎফুননেছা দোভাষ বেবী, সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিম, সহকারী প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, উপ সহকারী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিনসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.