বাঁশখালীর ৪ নিহতের পরিবারের দায়িত্ব নেবে কে?

কল্যাণ বড়ুয়া মুক্তা, বাঁশখালী : বাঁশখালীর গন্ডামারায় সংঘর্ষের ঘটনায় অকালেই ঝরে গেল ৪টি তাজা প্রাণ। আহত ও গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরো প্রায় অর্ধ শতাধিক। ঘটনার প্রেক্ষিতে নিহতের পরিবার গুলো একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছে। ঘটনার ২-৩ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন ধরনের সহযোগিতা পায়নি কারো কাছ থেকে। তারা এখন কি করবে, কোথায় যাবে, তাদের পরিবারের ভরণ পোষন কিভাবে চলবে আগামী দিন গুলো তা নিয়ে পরিবার গুলোতে চরম অনিশ্চয়তা। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন ধরনের সহযোগিতা পায়নি বলে দাবি করেন নিহত মর্তুজ আলী ও আনোয়ারের ভাই বদি আহমদ। গত সোমবার সংঘটিত ঘটনায় নিহত মর্তুজ আলীর দুই স্ত্রীর ঘরে ৪ ছেলে ৬ মেয়ে রয়েছে।

প্রথম ঘরের ছেলে মেয়েরা বড় হলেও দ্বিতীয় ছেলে মেয়েরা এখনও ছোট। তার উপর মর্তুজ আলীর বড় মেয়ের জামাই জাগের আহমদও ওই ঘটনায় নিহত হয়। তারাও রয়েছে ৪ ছেলে। যাদের অধিকাংশ বয়স ৭ বছরের নিচে। অপরদিকে নিহত আনোয়ার ইসলাম প্রঃ আঙ্গুরের ৩ মেয়ে ১ ছেলে রয়েছে। একমাত্র ছেলে আরাফাতও সবার ছোট। অপরদিকে নিহত জাকের আহমদ এর ঘরে ৪ ছেলে ৪ মেয়ে রয়েছে। সবার পরিবারে এখন নেমে এসেছে অশনি সংকেত। পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায় ঘটনার পর থেকে আত্মীয় স্বজন এবং পাড়া প্রতিবেশী সকলে দেখার জন্য এলেও উর্ধ্বতন কোন কর্মকর্তারা এখনও তাদের দেখার জন্য আসেনি।

নিহত মর্তুজ আলী ও আনোয়ারের বড় ভাই বদি আহমদ বলেন, আনোয়ারের একটি মেয়ের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক ছিল। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় তার বিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর থেকে সবাই সমবেদনা জানালেও কোন ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি। এ ব্যাপারে গন্ডামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আরিফ উল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিহত এবং আহতদের পরিবারদেরকে যথাসাধ্য সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য অচিরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।

এদিকে বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এই প্রতিনিধিকে জানান, বাঁশখালীতে নিহতদের পরিবারকে প্রধান মন্ত্রীর ব্যক্তিগত তহবিল এবং এমপি’র তহবিল থেকে অচিরেই নিহত এবং আহতদের পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে। এদিকে বাঁশখালীতে নিহতের ঘটনায় হরতাল আহবান করা হলেও যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক।

তাছাড়া গন্ডামারায় একটি শোক র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেলেও তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। অপরদিকে বাঁশখালীর গন্ডামারায় চলছে নিস্তবদ্বতা এবং আতংক। অপরিচিত কোন মানুষ দেখলে স্থানীয় জনগণ কোন ধরনের কথা বলা থেকে বিরত থাকছে।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.