বাঁশখালীতে নিহতের পরিবার ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে

বাঁশখালী প্রতিনিধি : সারাদেশে যখন বাঁশখালী নিয়ে আলোচনায় উৎসব মুখর তখন বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নিজের অবস্থান পরিস্কার করলেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বাঁশখালীর উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। অথচ এস. আলম পাওয়ার প্ল্যান্টের কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০১২ সাল থেকে। তখন বাঁশখালীর যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি এস. আলম গ্র“পকে বাঁশখালীতে নিয়ে জায়গা খরিদের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।

আজকে নতুন করে বাঁশখালীর কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাথে আমাকে নিয়ে নানা ভাবে কথা উঠছে। প্রকৃত কথা হচ্ছে আমি বাঁশখালীর জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার সর্বস্তরের নাগরিকদের উন্নয়নের ছোঁয়া দিতে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছি। এমনকি বাঁশখালীর গন্ডামারা জলবায়ু ফান্ড তহবিল থেকে ১২ কোটি টাকায় বেড়িবাঁধের উন্নয়ন কর্মকান্ড শুরু করেছি। দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে সরকার নিজেদের সাথে সাথে বেসরকারি গ্র“পকে কাজে লাগাচ্ছে। এস. আলম গ্র“প দেশে সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ প্রকল্প হাতে নেওয়ায় এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে এবং এলাকার জনগণের কর্মসংস্থানের স্বার্থে আমি প্রশাসন সহ সাধারণ জনগণকে উদ্ভুদ্ধকরণ সভার মাধ্যমে সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছি। অথচ আজকে এই কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পকে ঘিরে নানা ধরনের অপতৎপরতা চালিয়ে নিজেদের ফায়দা হাছিলের চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, এই কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যিনি বিরোধীয় করছে বিএনপি লেয়াকত আলী স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে নিজেকে জাহির করার জন্য সাধারণ জনগণকে উস্কানি দিয়ে ফায়দা হাছিল করছে। অথচ এস. আলম কর্তৃপক্ষ থেকে নানা ভাবে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা নেওয়ার বিভিন্ন তথ্য আমরা জানতে পেরেছি। তিনি বলেন, আমি পরিবেশ দূষণ না হলে প্রকল্পের পক্ষে আমি। আমার কাছে প্রকল্পের চেয়ে জনগণই বড়। তিনি বাঁশখালীর উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্থ করতে কতিপয় জনবিচ্ছিন্ন নেতা বর্তমানে এই কয়লা বিদ্যুৎকে কেন্দ্র করে নানা ভাবে মাঠে নেমে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তিনি ঘটনার দিন ১৪৪ ধারা জারির ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, ওখানে কি হচ্ছে, কারা যাচ্ছে তা আমি জানি না। প্রশাসন জনস্বার্থে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আপনারা সংবাদকর্মী ভাইয়েরা এলাকায় গিয়ে সরজমিনে তদন্ত করুন। গন্ডামারা একটি ওয়ার্ডের জনগণ নানা ভাবে এই প্রকল্পের বিরোধীতা করছে।

অথচ বিগত ৩-৪ বছর যাবৎ তারা এস. আলম কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের জায়গা জমি গুলো বিক্রি করে আসছে। তিনি আরো বলেন, ঘটনার দিন যারা নিহত ও আহত হয়েছে তাদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে নিহত পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদেরকে সহযোগিতা প্রদানের ব্যবস্থা করেছি। অচিরেই প্রশাসনের মাধ্যমে তা প্রদান করা হবে। তিনি ঘটনা সম্পর্কে বলেন, নিহত আনোয়ার এবং মর্তুজ আলীর পিতা আশরাফ আলী বিগত বেশ কয়েক বছর আজকের আন্দোলনের নেতা লেয়াকত আলীর পিতার গুলিতেই নিহত হয়েছে বলে জনশ্র“তি রয়েছে। তিনি ঘটনার মামলা ও আসামী সম্পর্কে বলেন, নিরাপদ কোন লোককে প্রশাসন হয়রানি করবে না। যারা ঘটনার সাথে জড়িত এবং ইন্ধনদাতা তাদেরকে অবশ্যই আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

এদিকে, নিহতদের ক্ষতিপূরণ ব্যাপারে এস. আলম পাওয়ার প্ল্যান্টের সহ-সমন্বয়কারী বাহাদুর আলম হিরণ জানান, ঘটনায় নিহত ও আহতদেরকে কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছে। নিহতের প্রত্যেক পরিবার ১০ লক্ষ টাকা করে এবং প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। অপরদিকে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা খরচ ও ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.