ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে কলেজ শিক্ষক গ্রেফতার

সিটিনিউজবিডি :  দশম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক কলেজ শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ প্রাইভেট পড়ানোর সময় বীরগঞ্জ পৌর শহরের। আটক শিক্ষক আশীষ কুমার সরকার (৪৮) দিনাজপুর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও বীরগঞ্জ শহরের বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটে গতকাল সন্ধ্যায়। এ ঘটনায় এদিন রাত ১০টার দিকে বীরগঞ্জ শহরে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার এক স্কুলছাত্রী প্রাইভেট পড়ার সময় শ্লীলতাহানির কথা ছুটির পর বাড়িতে এসে জানালে পরিবারের লোকজন ওই শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে তার উপর চড়াও হয়। ক্ষুদ্ধ লোকজন তার উপর হামলা চালালে সে পালিয়ে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

এসময় বিক্ষুদ্ধ জনতা অভিযুক্ত শিক্ষকর বিচার দাবিতে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলম হোসেন এবং বীরগঞ্জ থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন উত্তেজিত জনতার উদ্দেশ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে রাত সাড়ে ১০টায় অবরোধ তুলে নিলে সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষক আশীষ কুমার সরকার বলেন, ‘প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে আমি সন্তানের মতো স্নেহ করি। আমি কোনো মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার।’ এদিকে, স্কুলছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, প্রাইভেট পড়ার সময় প্রচণ্ড গরমে স্যারের কাছে কোমলপানীয় খাওয়ার আবেদন করি।

স্যার বলেন, বাড়ির ভেতরে ফ্রিজে ঠান্ডা পানি আছে, নিয়ে খাও। আমি পড়ার রুম থেকে ভিতরে গিয়ে ফ্রিজ থেকে পানি বের করতেই দেখি স্যার আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেছে। আমি নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে সব খুলে বলি। ছাত্রীর মা বিলবিস বেগম জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় তার মেয়ে ওই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট শেষে রাত ৭টায় বাড়ি ফিরে এসে ঘরে বসে কাঁদতে থাকে। এ সময় তাকে কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে ওই শিক্ষক তাকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালায় বলে জানায় সে। পরে আমরা শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে এর প্রতিবাদ জানাই এবং প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করি। বীরগঞ্জ থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছাত্রীটির পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগের পর শিক্ষককের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.