লবন-পানি দিয়ে গোসলের অবিশ্বাস্য উপকারিতা

লাইফস্টাইল : নীল সমুদ্র দেখতে দেখতে মন যেমন সবার প্রশান্ত হয়, তেমনই সমুদ্রের জলে স্নান করে শরীরও যেন সুস্থ হয়ে ওঠে। কারণ, লোনা পানিতে রয়েছে বিশেষ কিছু গুণ। যা আপনার ব্যথা সারিয়ে, ক্লান্তি কাটিয়ে ভিতর থেকে তরতাজা করে তোলে আপনাকে। লোনা পানিতে গোসল করলে আপনার শরীর জন্য বিশেষ উপকারী। লোনা পানিতে স্নান করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে, পেশী শিথিল হয়। ফলে আপনাকে রিল্যাক্সড রাখে।

এবার দেখা নেওয়া যাক, এর উপকারিতা গুলো কি কি :

ত্বক: লবণ পানিতে স্নান করলে শরীরে রোমকূপের মধ্যে দিয়ে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় খনিজ, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ত্বকে প্রবেশ করে। ফলে ত্বক স্বাস্থ্যজ্জ্বল দেখায়।

আর্থারাইটিস: লবণ পানিতে স্নান করলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিছুটা মেটে। নিয়মিত এটা করলে বাতের ব্যথা কমে যায়।ফলে বয়স দেখতে অনেক কম।

এনার্জি: রাতে লবণ পানিতে গোসল করলে যেমন ইনসমনিয়া দূরে থাকে, সকালে নুন জলে স্নান করলে শরীর থেকে টক্সিন দূর হওয়ার ফলে কাজের এনার্জিও বাড়ে।

ইনফেকশন: লবণ পানির হিলিং গুণ রয়েছে। নিয়মিত নুন জলে স্নান করলে শরীরে ইনফেকশন, ত্বকের সমস্যা অনেকটাই দূরে রাখতে পারবেন।

স্ট্রেস: শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে পেশী শিথিল করে। ফলে স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। গরম কালে রোজ বাড়ি ফিরে লবণ পানিতে স্নান করলে অনেক হালকা লাগবে নিজেকে।

ডিটক্স: লবণ পানিতে স্নান শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
শরীর থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও টক্সিন সম্পূর্ণ দূর করে আপনাকে ঝরঝরে রাখে লবণ পানিতে স্নান।

বয়স: নিয়মিত লবণ পানিতে স্নান করলে ত্বকের বলিরেখা, বয়সের ছাপও দেরিতে পড়ে। আর্দ্রতা বজায় থাকায় চেহারায় গ্লো আসে।

ইনসমনিয়া: বাড়ি ফিরে লবণ পানিতে গোসল করলে স্ট্রেস কমে, শরীর, মন হালকা লাগে। ফলে রাতে ঘুম ভাল হয়। অনিদ্রা দূরে থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: প্রতি দিন লবণ পানিতে স্নান শরীর থেকে টক্সিন দূর করে ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেকটা বেড়ে যায়।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.