নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ পবিত্র শবে বরাত। এই রাত পাপ মোচনের পরম সৌভাগ্যের রাত। এ রাতেই পরবর্তী এক বছরের ভাগ্য নির্ধারিত হয়। আজকের রাতকে তাই লাইলাতুল বরাত বা ভাগ্যরজনী। শবেবরাত উপলক্ষে আজ রাতে রাজধানীসহ সারাদেশের প্রতিটি মসজিদে বিশেষ ওয়াজ মাহফিল ও জিকির-আসকার অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে। শবেবরাত উপলক্ষে মুসল্লিরা সারারাত নফল নামাজ আদায় করবেন। অনেকে আজ রোজা রেখেছেন। সন্ধ্যায় প্রতিবেশীর বাড়িতে ইফতার বিতরণের রেওয়াজও রয়েছে। অনেক পরিবারেই শবেবরাত উপলক্ষে হালুয়া-রুটিসহ বিশেষ খাবার রান্না এবং তা প্রতিবেশী ও গরিবদের মধ্যে বিতরণের পরম্পরা রয়েছে।
পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে সোমবার সাধারণ ছুটি।
পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে পবিত্র শবেবরাতের শুভেচ্ছা জানান। তারা শবেবরাতের শিক্ষায় দেশ ও জাতি গঠনের আহ্বান জানান; বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ভ্রাতৃত্ব ও সৌভাগ্য কামনা করেন।
মুসলমানদের বিশ্বাস, শবেবরাতের রাতেই নির্ধারিত হয় হায়াত-মউত, রিজিক-দৌলত, আমল। পুণ্য লাভের উদ্দেশ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের মুসলিম সম্প্রদায়ও তাৎপর্যপূর্ণ এ রাতে ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আসকার, মিলাদ-মাহফিল, নফল নামাজ আদায় ও কোরআন তিলাওয়াতে মশগুল থাকবেন। মহিমান্বিত এই রাতের ফজিলত সম্পর্কে বলা হয়েছে, বরকতময় এই রাতে মুমিনদের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ বর্ষিত হয়। নির্ধারিত হয় সব মানুষের আগামী এক বছরের রিজিক।
Comments are closed.