বর্তমান সরকার গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করতে চায় না

জুবায়ের সিদ্দিকী : নিজেদের বিভক্তির কারণে রাষ্ট্রের কাছে সাংবাদিক হত্যার বিচার পাচ্ছি না বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। শনিবার (২৮ মে) দুপুর ১টায় প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে ‘সাংবাদিকদের মর্যাদা, শ্রম আন্দোলন এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) আয়োজনে সভার উদ্বোধন করেন খ্যাতিমান সমাজবিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সাংবাদিক ‘সাগর-রুণি হত্যাকাণ্ডের পর আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলাম। সাংবাদিক ইউনিয়নকে এক করার জন্য একটা খসড়াও তৈরি করি। কিন্তু খসড়াটি চূড়ান্ত করার দিন আমাদের প্রতিপক্ষ কিছু সাংবাদিক আসলো না। ফলে আন্দোলন তার গতি পেল না। আমাদের মধ্যে বিভক্তির কারণে রাষ্ট্রের কাছে আমরা সাংবাদিক হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকদেরও ওয়েজ বোর্ডের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের ৯ম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নে খুবই সংবেদনশীল। তিনি গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান না। গণমাধ্যমকে শৃঙ্খলবদ্ধ করতে চান না। গণমাধ্যমের বিকাশকে সংরক্ষণ করতে চান তিনি।’

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকদের মর্যাদা রক্ষা ও অধিকার দিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে সংবাদপত্র আইন করেছিলেন। কিন্তু ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত নিয়ন্ত্রিত সরকার রাতের আধারে আমাদের সঙ্গে কোনো কথা না বলে সাংবাদিকদের শ্রম আইনের অধীনে নিয়ে যায়। কিন্তু বর্তমান সরকার পুনরায় ১৯৭৪ সালের আইনে ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে যখন একজন শিক্ষককে কান ধরে উঠবস করা হয়েছে, সাংবাদিকরা লেখনির মাধ্যমে তার প্রতিবাদ করেছে। এক এগারোর সময় যখন রাজনীতিবিদদের মর্যাদাহানি করা হচ্ছিল তখনও তারা আন্দোলন করেছিল। একই সময়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর আঘাত আসলে তখনও তারা আন্দোলন করেছিল। কিন্তু নিজেদের অধিকার রক্ষায় আমরা সচেতন নই।’

সভার উদ্বোধক ড. অনুপম সেন বলেন, ‘পাকিস্তান শাসনামল থেকে এদেশের সাংবাদিকরা সংগ্রাম করেছেন, তা এখনও করে চলেছেন। আন্দোলন করতে গিয়ে জেলে গেছেন, হামলার শিকার হয়েছেন-এসবের তুলনা হয় না। এখনও নিত্য হুমকি-ধমকির মধ্যে মানুষের অধিকারের কথা বলে যাচ্ছেন তারা।’