চট্টগ্রাম : আমদানিকারকদের সঙ্গে বৈঠক করে বেঁধে দেওয়া দরে ছোলা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন কাজীর দেউড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক। রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিশ্চিতকরণ এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ অভিযোগ করেন তিনি। আজ (১ জুন) বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, খাতুনগঞ্জে ৭৫ টাকায় ছোলা বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু আমরা সবচেয়ে নিম্নমানের ছোলাও ৭৬ টাকায় কিনতে পাইনি। ২ হাজার ৮২০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৩২০ টাকায় প্রতিমণ ছোলা বিক্রি হচ্ছে। ৩০ টাকা গাড়িভাড়া, ১০ টাকা ধোলাই খরচ, লাভ মিলে কত টাকায় বিক্রি করবো। ছোলার নমুনা ও রশিদ দেখিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছগীর আহমদ, আমদানিকারক আবুল বশরকে অবহিত করেছি। তিনি বলেন, ক্যামিকেল ড্রামে মিশিয়ে কলা ডুবিয়ে রেখে পাকানো হচ্ছে। চিনির মোড়কে লেখা আছে ৫৮ টাকা কেজি। কিন্তু বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
ক্যাবের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, অনেক সভা হয়েছে। কিন্তু বাজার অস্থিতিশীল রয়ে গেছে। কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে যারা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে তাদের ছাড় নেই। আইন না মানলে জেল দিয়ে হলেও বাধ্য করা হবে। বাজার সমিতির নেতাদেরও অভিযানে অংশগ্রহণ করতে হবে।
Comments are closed.