মহাসড়কে ১০ হাত সংস্কারের কাজ, ৪০ কিলোমিটার যানজট

কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুন্ড :  বৃষ্টিতে ভেঙে পড়া সংস্কার কাজে মহাসড়কে যানজটে পড়ে নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাতভর লেগে থাকা যানজট থেকে পরদিন সকালেও মুক্ত হতে পারেনি যাত্রী ও পন্যবাহী পরিবহন। প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথে যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় অবরোদ্ধ হয়ে পুরো সড়ক।১০ হাতকাজ সংস্কারে ২ কিলোমিটার পথ বন্ধ রাখায় এ অবস্থা দেখা দেয় বলে জানান চালকরা। তারা  বলেন,‘ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অপরিকল্পিত কাজের কারণে রাস্তায় এই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

রাস্তায় গাড়ির পরিমান বৃদ্ধি পাওয়ায় এক লেনে ধীর গতিতে গাড়িগুলো চলতে হয়। যারফলে রাস্তায় দীঘ লাইনের পড়ে যানজট তৈরী হয় বলে জানান তারা।এদিকে মহাসড়কের যানজটে পড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে যাত্রীরা। সীতাকুণ্ড হতে ৩৭ কিলোমিটারের পথ অতিক্রম করতে যাত্রীদের পোহাতে হয় পুরো রাত। এ প্রতিবেদক ব্যাক্তিগত কাজে ঢাকা যাওয়ার জন্য রাত ১ টায় ভাটিয়ারী থেকে গাড়িতে উঠেন, তীব্র যানজটের কারণে গাড়ি বার আউলিয়া আসতেই বেজে যায় ভোর ৪ টা তাই ঢাকা যাওয়ার প্রোগ্রাম বাতিল করেন তিনি।

সীতাকুণ্ড ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম বলেন, গত রাত ৯টার সময় সীতাকুন্ড উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠি। রাতভর গাড়িতে বসে থেকে পরদিন সকাল ৯টায় সীতাকুণ্ড বাজারে এসে পৌছি। এ পরিস্থিতে পড়ে ঢাকামূখী হাজার হাজার যাত্রীকে গাড়িতে রাত কাটাতে হয়েছে বলে জানান তিনি। মহাসড়কে এ অবস্থা দেখা দেয়ায় গাড়িতে আটকে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে।বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা। এছাড়া যথাসময়ের মধ্যে পন্য নির্দিষ্ট স্থানে পৌছতে না পারায় হিমায়ীত কাচা মালের ব্যবসায়ীদের গুনতে হয়েছে লক্ষ টাকার ক্ষতি। অথচ রাস্তায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে প্রশাসনের ভ’মিকা ছিল খুবই নাজুক।

প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ না থাকার কারণে এক গাড়ি অন্য গাড়িকে অভারটেক চেষ্টা করার চেষ্টা চালালে যানজটের মাত্রা আরো কঠিন আকার ধারণ করে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে রাস্তায় লেগে থাকা জনজটের জন্য ফোরলেন কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করেন হাইওয়ে পুলিশ। বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি সালেহ আহাম্মদ পাঠান জানান, সংস্কারের কাজ চলায় রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনে রাস্তায় সার্বক্ষনিক পুলিশ টিম কাজ করেছে। এরপরও চালকদের এলোমেলা গাড়ি চলাচলের কারণে দীঘ সময় ধরে যান লেগে যায় রাস্তায়।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.