বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার শিবগঞ্জে শিয়া মসজিদে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন এক জঙ্গি সদস্য কাওসার (২৫) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোরের দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বগুড়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) গাজিউর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের জামতলি গ্রামে পুলিশের অভিযানের সময় গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকার কালশীতে মঙ্গলবার ভোরে নিহত দুইজনের মধ্যে সুলতান মাহমুদ ওরফে কামাল ওরফে রানাও বগুড়ার শিয়া মসজিদে হামলায় জাড়িত ছিলেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
তিনি বলছেন, নিহত মো. কাউসার (২৫) জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) একজন সদস্য। শিবগঞ্জে শিয়া মসজিদে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার এক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, ওই হামলায় কাউসার সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। পুলিশের একটি দল গোপন খবরের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযানে গেলে কাউসার ও তার সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হাতবোমা ফাটিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালানোর চেষ্টা করে। সে সময় আত্মরক্ষার জন্য পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে কাউসারকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে বলে গাজিউর রহমান জানান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তুল, দুটি গুলি, পাঁচটি হাতবোমা, দুটি ছোরা ও একটি চাপাতি উদ্ধার করেছে।
২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বরে শিবগঞ্জের হরিপুরে আল মস্তেফা শিয়া মসজিদে মাগরিবের নামাজের সময় ওই হামলা হয়। নামাজরতরা যখন সিজদায়, তখন তিন যুবক গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় মসজিদের মোয়াজ্জিন মোয়াজ্জেম হোসেন নিহত হন। আহত হন ইমাম শাহিনুর রহমান এবং তাহের মিস্ত্রি ও আফতাব আলী নামে স্থানীয় দুই বাসিন্দা।
Comments are closed.