চট্টগ্রাম বন্দরে চলছে অভিযান আইরিন

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে কোন ধরনের বিস্ফোরক, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক যেন সন্ত্রাসীদের কাছে পৌঁছাতে না পারে সে লক্ষ্যে বিজিবির ডগ স্কয়াড দিয়ে বন্দরের জেটিতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আজ (১৮ জুলাই) সোমবার সকাল ১১টা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর জেটি ৮ নম্বর শেড থেকে এ সিএফএস শেড এবং অন্যান্য শেডে তল্লাশী শুরু করেন। আর্মস,ড্রাগ ও নার্কাটিক মালামাল ধরতে পারে বিজিবি’র এমন তিনটি কুকুর দিয়ে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। মূল অভিযান পরিচালনাকারী শুল্ক গোয়ন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এছাড়া বন্দর ও কাস্টমসও তাদের সহযোগীতা করেন।

বিশ্বের ৩৩টি দেশে রাইলোর নির্দেশে এই অভিযান চলছে। অভিযানের নাম অপারেশন আইরিন। মঙ্গলবারও চট্টগ্রাম বন্দরে অপারেশন আইরিন পরিচালনা করা হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে অন্যান্য দেশের ন্যায় এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হোসাইন আহমেদ বলেন, এখানে যেসব মালামাল সিএফএস কন্টেইনারে যা একই কন্টেইনারে বিভিন্ন রকমের মালামাল থাকে,সেই সব মালগুলো স্কেনিং কম হয়। এই সুযোগ নিয়ে যাতে কেউ অস্ত্র,গোলাবারুদ,মাদকদ্রব্য আনতে না পারে।আমদানী করে খালাস না করতে পারে। সে সমস্ত মালামাল সন্ত্রাসীদের হাতে না যায়। তার জন্য এই অভিযান চলছে।

এই অভিযান এসিএল কন্টেইনারে শুরু করা হচ্ছে কারণ এফসিএল কন্টেইনারে এই ধরনের মালামাল আনার সম্ভাবনা কম। কারণ এফসিএল আর্মস ,ড্রাগ ও নার্কাটিক মালামাল স্কেনিং দিয়ে যায় না বলেও জানান তিনি। শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরো জানান,ঢাকা বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরে ডগ স্কোয়াড দিয়ে করা হচ্ছে। চট্টগ্রম বিমান বন্দরে স্কেনিং মেশিন দিয়ে করা হয়েছিল। অভিযান শেষে বিকাল ৫টার পর একটি ব্রিফিং করে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা হোসেন আহমদ।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.