অর্থ পাচার মামলায় তারেক-মামুনের রায় কাল

ঢাকা : অর্থপাচার ‍মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের মামলায় হাইকোর্টের রায় জানা যাবে বৃহস্পতিবার। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করবেন।

নিম্ন আদালতে তারেকের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আপিল ও দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত ১৬ জুন একই বেঞ্চ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছিলেন।

গত ২৫ মে দুদক ও মামুনের আপিল আবেদন দুটির শুনানি একসঙ্গে শুরু হয়। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তারেক রহমান পলাতক থাকায় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তবে মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত মামুনের পক্ষে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম শুনানিতে অংশ নেন।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করা হয়। এ মামলায় তারেক রহমান ও তার বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয় ২০১১ সালের ৬ জুলাই। ২০ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ ও পরে তা বিদেশে পাচারের অভিযোগে করা মামলার রায়ে ঢাকার একটি আদালত ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর তারেককে খালাস দেন। ওই রায়ে মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি জরিমানা করা হয়।

পরে তারেক রহমানকে দেওয়া খালাস চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আপিল করে দুদক। গত বছরের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে তারেক রহমানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন ও সমন জারি করেন। কিন্তু তিনি আত্মসমর্পণ করেননি। আপিল আবেদনটি দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কার্যতালিকায় এলে গত ১২ জানুয়ারি ফের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এরপর তারেক রহমানকে আত্মসমর্পণ ও আপিলের বিষয়ে অবহিত করতে হাইকোর্টের নির্দেশে গত ২০ ও ২১ জানুয়ারি দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। চার্জশিটে থাকা দুই ঠিকানায় (লন্ডন ও ঢাকা) সমনের নোটিশও পাঠায় বিচারিক আদালত।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.