তেলের মূল্য কমলেও সুফল পায়নি জনগণ

ঢাকা : সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য কিছুটা কমালে পরিবহন বা অন্য খাতে এর সুফল জনগণ তেমন পায়নি। জাতীয় সংসদে আজ (২৫ জুলাই) সোমবার বিকেলে এমপি রহিম উল্লাহর এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও স্থানীয় বাজারে এর প্রভাব সব সময় পড়ে না। সরকার স্থানীয় বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কিছুটা কমালে পরিবহন বা অন্য খাতে এর সুফল জনগণ তেমন পায়নি।

মন্ত্রী বলেন, ২০১১ সালে লিটারপ্রতি সর্বোচ্চ ৩২ দশমিক ২৪ টাকা (ডিজেলে) ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছিল। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব স্থানীয় বাজারে সম্পূর্ণরূপে পড়েনি। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য কমে গেলেও আমাদের স্থানীয় বাজারে তা বর্ধিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে- এ বিষয়টি বাস্তবতার নিরীখে কিছুটা বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। ২০১৪-১৫ অর্থবছর (নভেম্বর ’১৪) হতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ইতোপূর্বে জ্বালানি তেল খাতে সরকার বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি প্রদান সমন্বয় করার সুযোগ পেয়েছে। লোকসান পুরোপুরি সমন্বয় না করেও ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।

সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাসের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, গ্যাসের যে চাহিদা অব্যাহত রয়েছে, তাতে আগামী ১৩ বছর পর দেশে আর গ্যাস পাওয়া যাবে না। তাই প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর চাপ কমাতে এলপিজি গ্যাসের ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.