আবুধাবীতে ইফতেখার হোসেন বাবুল ও নাসির তালুকদারের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ঐক্যবদ্ধ

0

মুখোমুখি :

সাইফুল ইসলাম (হারুন)

ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক
আবুধাবী বঙ্গবন্ধু পরিষদ
আরব আমিরাত।

জুবায়ের সিদ্দিকী : প্রবাসে আমরা সব সময় স্মরন করি বাঙ্গালী জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ট সন্তান, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। দেশে জঙ্গিবাদ নির্মুলে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শই জেগে ওঠার প্রধান শক্তি। বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও অগ্রগতির মুলে আসল প্রেরনা। এ কথাগুলো বলেছেন আমিরাতের আবুধাবী বঙ্গবন্ধু পরিষদের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম (হারুন)। রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটার সন্তান হারুন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আলী আহমদ এর পুত্র। শহীদ পরিবারের সনÍান হারুন জীবন ও জীবিকার সন্ধানে আমিরাতে পাড়ি জমান ৯৪’সাল থেকে। আবুধাবীতে প্রবাসী কমিউনিটির অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব ইফতেখার হোসেন বাবুল ও সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক নাছির উদ্দিন তালুকদারের হাত ধরেই প্রবাসে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে একজন নিবেদিত প্রান হিসেবে রাজনীতি করছেন। রাঙ্গুনিয়াতে সমাজ সেবায় রেখেছেন প্রশংসনীয় ভুমিকা। শিক্ষা প্রতিষ্টান, ধর্মীয় প্রতিষ্টান সহ সামাজিক কর্মকান্ডে দেশে অনেক ভুমিকা রেখেছেন হারুন। আমিরাতে টেক্সটাইল ও টেইলারিং ব্যবসায় সুনামও অর্জন করেছেন তিনি। তিনি আবুধাবীর নিজের আরবাবের সহযোগিতায় কক্সবাজারের চকরিয়া, ব্রাম্মনবাড়িয়া ও রাঙ্গুনিয়াতে ৩ টি মসজিদ নির্মান করতে সক্ষম হন। আজকের সুর্যোদয়কে গত সপ্তাহে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গুনিয়া যুবলীগের সহ-সভাপতি ও সরফভাটা শেখ রাসেল স¥ৃতি সংঘের প্রাক্তন সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম মেম্বার। বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী হারুন বলেন, ’একাত্তরের শহীদ আমার বাবার লাশ পাইনি। চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মরত অবস্থায় পাক সেনারা বাবাকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। আজও বাবার অন্তর্ধানের সেই স্মৃতির ক্ষত আমরা পরিবারের সদস্যরা বহন করে চলেছি। আমার বাবা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। আমিও সেই দেশের জন্য কাজ করতে প্রবাসে আমার অবস্তান থেকে চেষ্টা করছি। বিশিষ্ট সংগঠক হারুন বলেন, প্রবাসীদের মধ্যে যাদের পরিবার পরিজন দেশে আছে তাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর রাখা জরুরী। সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কি করে অবসর সময়ে এসব বিষয়ে অভিভাবকদের খবর রাখতে হবে। তিনি বলেন, আমি মনে করি জঙ্গি অর্থায়নে প্রতিরোধের ক্ষেত্রে জিরো ট্রলায়েন্স নীতি গ্রহন করেছে সরকার। আমি মনে করি, জঙ্গি অর্থায়নে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্টানের কোন সংশ্লিষ্টতা বা আঁতাত পাওয়া গেলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। দেশে সরকার জঙ্গি দমনে যে সব পদক্ষেপ ও সতর্কতা নিয়েছেন তাতে সুফল পাচ্ছে মানুষ। তবে জনগনের সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরী। সাধারন মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে নিতে হবে উদ্যোগ। আইনজীবিদের উচিত আদালতে কোনভাবে যেন জঙ্গিদের দেয়া না হয় আইনী সহায়তা। বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও বঙ্গবন্ধু আদর্শের সৈনিক হারুন বলেন, সরকার চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য ফ্লাইওভার, ট্যানেল, এলএনজি টার্মিনাল সহ প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। আমি মনে করি, উন্নয়নের পথে হাটছে চট্টগ্রাম। তিনি বলেন, দেশের মোট বৈদেশিক বানিজ্যের ৮০ শতাংশই হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। আমদানী বানিজ্যের প্রায় ৮৫ ভাগ এবং রপ্তানী বানিজ্যের ৮০ ভাগই পরিচালিত হয় এই বন্দরের মাধ্যমে। এই ভুমিকা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে। অর্থনীতির হৃদপীন্ড বলা হয় চট্টগ্রাম বন্দরকে। তারপরও বলব, আমরা চট্টগ্রামবাসী অবহেলিত। সামান্য বৃষ্টিতে ও জোয়ারের পানিতে আমাদের শহর ভাসছে। এর অবসান হওয়া জরুরী। চট্টগ্রামের প্রতি অবহেলা ও বঞ্চনার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। মিরস্বরাই ও আনোয়ারা গড়ে উঠেছে দুটি শিল্পাঞ্চল। আমাদের সবুজ ও পরিচ্ছন্ন বাসযোগ্য নগরীর অঙ্গীকার। বিশিষ্ট সংগঠক হারুন বলেন, চট্টগ্রামে রাজনৈতিক সহাবস্থান রয়েছে। পারস্পরিক সৌহাদ্য ও নগর উন্নয়নে জনগনের সচেতনতারও প্রয়োজন রয়েছে। আমার মতে, সরকারী পদক্ষেপই যথেষ্ট নয়, চট্টগ্রামের অগ্রযাত্রায় নেতৃত্বে থাকা রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, সমাজ সেবক ও নাগরিকদের সম্মিলিত প্রয়াস অপরিহার্য। সকল নাগরিকের সম্মিলিত প্রয়াস অপরিহার্য। সবার সগযোগে চট্টগ্রাম এগিয়ে যাবে। চট্টগ্রাম তার হারানো অবস্থান ফিরে পাবে। হারুন বলেন, আবুধাবীতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ একটি শক্তিশালী সংগঠন। এই সংগঠনের সুনাম দেশে ও অন্যান্য দেশেও রয়েছে। দেশের সকল জাতীয় দিব্স আমরা পালন করি। এ ছাড়া দেশের ক্রান্তিলগ্নে দেশবাসীর পাশে আমরা হাজির হয়েছি এবং অর্থপ্রদান করে মানবতার সেবায় সুযোগ নিয়েছি। এখনো দেশের প্রয়োজনে যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে আমরা প্রস্তুত। আজকের সুর্যোদয়কে একান্ত সাক্ষাতকারে হারুন বলেন, প্রবাসে আমরা জীবিকার তাগিদে থাকলেও মন পড়ে থাকে দেশে। দেশ শান্তিতে থাকলে আমরাও শান্তিতে থাকি। দেশে বিরাজমান সমস্যা সমাধানে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রজ্জ্বলিত হবে দেশের মানুষের জীবনযাত্রা। এই প্রত্যাশা করি সবসময়। আমার শরীরে শহীদের রক্ত। এই রক্ত দেশকে ভালবাসার। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের দৃড় প্রত্যয়ে প্রবাসে বা দেশে যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আবুধাবীর সভাপতি আলহাজ্ব ইফতেখার হোসেন বাবুল ও সাধারন সম্পাদক নাছির উদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে আমরা প্রস্তুত। আমরা দেশবাসীর দোয়া ও আশির্বাদ কামনা করছি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.