ঢিলেঢালাভাবে চলছে ছাত্রদলের হরতাল

0

নিজস্ব প্রতিবেদক:: ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল আলম নুরু হত্যার প্রতিবাদে বৃহত্তর চট্টগ্রামে ডাকা আধাবেলার হরতাল চলছে ঢিলেঢালাভাবে। এদিকে হরতালের আহবান করে কোনো নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি। তবে পুলিশের কড়া নজর রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। স্বাভাবিক রয়েছে বন্দর নগরীর যানচলাচল।

রবিবার ভোরের দিকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নগর ছাত্রদলের ৩০/৪০জনের ঝটিকা মিছিল বের করলেও পুলিশ আসার পর নেতাকর্মী শূন্য রাজপথ। এতে নগরী ও নগরীর বাইরে এখনো কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে মিছিলের চেষ্টা করে নগর মহিলা দল। এসময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে মহিলা দল নেত্রীদের সাথে পুলিশ হাতাহাতির চেষ্টা করে। পুলিশ নগর মহিলা দলের নেত্রী আঁখি সুলতানাসহ কয়েকজনকে আটকের চেষ্টা চালায়। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি

পৌনে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের ১০/১৫জন নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। এসময় পুলিশ ছয় নেতাকর্মীকে আটক করে।

আটককের সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ করে মিছিলের চেষ্টাকালে ছয়জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো মামলা হয়নি।

নগরীর দামপাড়া, অলংকার, একে খান বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, আগের নিয়মেই অন্য জেলার বাসগুলো ছেড়ে যায়। এদিকে হরতালে নগরী জুড়ে সকাল থেকে ছোট বড় সব ধরনের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, এখন পর্যন্ত কোথায় কোনো অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি। নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য বিপুলসংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। আমরা কাউকে হরতালের নামে নাশকতা বা গাড়ি ভাঙচুর করতে দেবো না।

উল্লেখ্য, ২৯ মার্চ বুধবার রাতে নগরীর চকবাজার এলাকার নিজ বাসা থেকে পুলিশ পরিচয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরুকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন বিকেলে রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের কোয়েপাড়া গ্রামের খেলাঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে হাত-পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে বিএনপি ছাত্রদল এ হত্যার প্রতিবাদে সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরী, চট্টগ্র্রাম উত্তর, দক্ষিণ জেলা, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও পার্বত্য জেলা বান্দরবানে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.