‘দুর্নীতি করেছে বিএনপি, সন্ত্রাস করেছে জামায়াত

0

সিটিনিউউজ ডেস্ক:: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কীভাবে কার্যকরভাবে নিজেদের পক্ষে ব্যবহার করা যায়, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদেরকে হাতে-কলমে তা শেখালেন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র এবং তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। এ সময় তিনি বলেন, দুর্নীতি আর সন্ত্রাস করে ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়া বিএনপি জামায়াত এখন সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এগুলো মোকাবেলা করার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও নেতা-কর্মীদেরকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে।

রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের নতুন কার্যালয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধানমন্ত্রী পুত্র এ কথা বলেন। ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সংসদ সদস্যদের করণীয়’শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

জয় বলেন, ‘দুর্নীতি করেছে বিএনপি, সন্ত্রাস করেছে জামায়াত। তারা দুই দল, দুই দল করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, “২০১৩ সালে আমি যখন আওয়ামী লীগের প্রচারে নামি তার আগে থেকেই, ‘ব্যর্থ হয়েছে, ব্যর্থ হয়েছে, সরকার ব্যর্থ হয়েছে’-জাতীয় কথা বলে গেছে তারা। এত কাজ করেছি, মানুষের আয় দ্বিগুণ করেছি, স্কুলে ৩২ কোটি বই বিতরণ করেছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি, পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করে দিয়েছি। তারপরেও অবশ্য ‘ব্যর্থ হয়েছে, ব্যর্থ হয়েছে’ প্রচার-অপপ্রচার চলছেই।”

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু কাজ করলে হবে না, মানুষকে জানিয়ে দিতে হবে আমরা কী করছি তাদের জন্য।’ তিনি বলেন, ‘যা করছে আওয়ামী লীগ কী করছে, এটা সরকার না। বিদ্যুৎকেন্দ্র, নিজ অর্থে পদ্মা সেতু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের সিদ্ধান্তে হচ্ছে। আমরা এটার টাকা জোগাড় করে দিয়েছি, আমরা পরিশ্রম করছি।’

‘জয় বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকে মোকাবেলা করতে হলে, আমাদের নিজের প্রচার করে যেতে হবে। আমাদের মধ্যে সিনিয়র যারা আছেন তারা মানুষের সামনে কথা বলতে, নিজের ঢোল পেটাতে লজ্জা পান। এটা স্বাভাবিক, আমরা যারা সৎ মানুষ। সৎ মানুষ কিন্তু সব সময় নিজের ঢোল পেটাতে লজ্জা পায়। কিন্তু যারা ফাঁকিবাজ, যারা টাউট তারা নিজেদের ঢোল পেটাতে খুব পারে। কিছু না করেই তারা ঢোল পেটায় এতকিছু করে ফেলেছি।’

এই লজ্জা ঝেড়ে ফেলার পরামর্শ দিয়ে জয় বলেন, ‘যারা পরিশ্রম করতে পারে, যারা সৎ তারা একটু লজ্জা পায়। তবে সেই লজ্জা পেলে কিন্তু হবে না। আমাদের জোর গলায় বলতে হবে। আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার সেটা মোকাবেলা করতে হবে। আমরা কী করছি, সেটা বার বার বলতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর পুত্র বলেন, ‘আমাদের তরুণরা কিন্তু এখন আর খবরের কাগজ পড়েই না। খবরের কাগজে শুধু আমাদের ওই সুশীল বাবুদের মতামতই দেখা যায়। তরুণরা ওটা পাত্তা দেয় না। তরুণরা টেলিভিশনটাই বেশি দেখে। তবে সবচেয়ে বেশি খবর তার পায় স্যোশাল মিডিয়া থেকে। সে কারণে আমাদের জন্য স্যোশাল মিডিয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের জন্য কাজ করছি, স্যোশাল মিডিয়াগুলোতে যদি আমাদের প্রচার রাখতে পারি তাহলে আজকের ভোটার না, তরুণ ভোটাররাও আওয়ামী লীগের ভোটার হয়ে থাকবে।’

কর্মশালায় প্রায় ৫০ জন সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। আগামী দুই দিনের আরও ১০০ জন সংসদ সদস্যের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.