সিটিনিউজবিডি : দাঁতের যত্নে কি ব্যবহার করছেন , পেস্ট নাকি পাউডার! কোনটা ব্যবহার করা উচিত- এ নিয়ে অনেকেই ধন্ধে পড়েন। যারা এমন সিদ্ধান্তহীনতায় ভূগছেন এখানের আলোচনাটিতে মন দিন- এতে সিদ্ধান্তে যেতে আপনার সুবিধাই হতে পারে।
প্রথমেই আসি পেস্টের আলোচনায়- সবারই জানা, টুথপেস্টে থাকে ফ্লোরাইড। এই ফ্লোরাইড যদি অধিক পরিমাণে থাকে তাহলেই ভয়, এতে দাঁতে ফ্লোরোসিস করতে পারে অর্থাৎ দাঁতের এনামেলে সাদা দাগের সৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে দাঁতের গঠন মজবুত হতে পারে না। শিশুরা যদি টুথপেস্টকে খাদ্য মনে করে গিলে ফেলে তা হতে পারে স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ।
এ ছাড়া টুথপেস্টে বিদ্যমান এসএলএস বা সোডিয়াম লরিল সালফেট মুখ ও জিহ্বায় আলসার বা ঘা সৃষ্টি করতে পারে। টুথপেস্টে এসএলএস ব্যবহৃত হয় ফেনা সৃষ্টির জন্য। যা কখনও কখনও মুখের ক্ষতি করতে পারে।
পেস্টে এতো সমস্যা আছে বলেই অনেকে বিকল্প খুঁজেন। এক্ষেত্রে বিকল্প হিসাবে টুথ পাউডারই ভরসা। আবার কেউ কেউ হারবাল টুথপেস্টও খোঁজেন। বিকল্প হিসাবে যারা পাউডার এর কথা ভাবছেন প্রথমেই তাদের কে জানতে হবে পাউডারের উপাদান সম্পর্কে।
আজকাল ভাল আয়ুর্বেদ টুথ পাউডার পাওয়া যায়। এসব পাউডার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃতও হচ্ছে। এই পাউডারে যেসব উপাদান থাকে তার মধ্যে রয়েছে- শুঁঠ, হরতকি, দারচিনি, লবঙ্গ, কর্পূর এবং গোলমরিচ। যা দাঁতকে মজবুত করতে সহযোগিতা করে।
এই পাউডারে বিদ্যমান লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া অন্যান্য উপাদানগুলো মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। যারা তামাক সেবন করে তাদের জন্য এই টুথ পাউডার খুবই উপাদেয়। তবে পাউডারে কোন দাঁত ক্ষয়কারী কয়লা বা ছাই জাতীয় কোন পদার্থ যেন না থাকে।
দাঁত মাজতে পেস্ট এবং পাউডার নিয়ে যেমন বিতর্ক আছে, তেমনি রয়েছে টুথব্রাশ এবং নিমের ডাল বা জয়তুনের ডাল নিয়েও। যাই হোক পেস্ট ও পাউডার নিয়ে যত বিতর্কই থাকুক না কেন, খেয়াল রাখতে হবে এসবে যেন ক্ষতিকর কোন উপাদান না থাকে- যা দাঁত ও মুখের জন্য ক্ষতিকর।