গাজী সিরাজকে ফের গ্রেপ্তারে বিএনপির প্রতিবাদ
সিটি নিউজঃ কোন ধরনের ওয়ারেন্ট ছাড়া ফের ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতার করা হযেছে নগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাকে।
সকল মামলায় জামিনে থাকার পরও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতেই চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর ছাত্রদল সভাপতি গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ কে পুলিশ সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সি. সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান।
আজ ২ ডিসেম্বর সোমবার এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গাজী সিরাজ একজন পরিচ্ছন্ন ছাত্রনেতা। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই তাকে বিনা মামলায় আটক করে একটি ভূয়া ও কাল্পনিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও ঘৃণিত কাজ।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি ও আগামী উপ নির্বাচন এবং চসিক নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যেই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সরকারি নীল নকশার নির্বাচন করার লক্ষেই চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলায় ফাসানো হচ্ছে। দেশে আজ নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকার বলতে কিছু নেই।
বিনা ওয়ারেন্টে গাজী সিরাজকে গ্রেফতারই প্রমান করে দেশ এখন পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। একদল লুঠেরা মিলে আজ দেশটাকে লুটেপুটে খাচ্ছে। সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে তাদের উপর ছড়ি ঘুরিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে আওয়ামীলীগ৷
নেতৃবৃন্দ বলেন, মহানগর ছাত্রদল সভাপতি গাজী সিরাজ সহ ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। নেতৃবৃন্দ এই কাল্পনিক এক মাস আগের ঘটনার মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে গাজী সিরাজের মুক্তির দাবী জানান।
গাজি সিরাজকে গত ৯ জুলাই জেল থেকে বের হবার পর আবার জের গেইট থেকে গ্রেফতার করা হয়। গত ২ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান। গতকাল ১ ডিসেম্বর ঢাকা যাবার পথে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে আবারো গ্রেফতার করা হয়। কাল থেকে থানায় আটকিয়ে রেখে আজ সোমবার কোর্ট টাইম শেষ হবার পর কোর্টে তোলা হয় বলে জানান নগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী।