হু আর ইউ? ব্যারিস্টার তাপসকে দুদক চেয়ারম্যান
সিটি নিউজ ডেস্কঃ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, বেসিক ব্যাংক দুর্নীতি ইস্যুতে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুকে দুদকের চার্জশিটভুক্ত করা হবে কিনা এই বিষয়ে বলার এখতিয়ার ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের নেই।
আজ রবিবার (৮ ডিসেম্বর) ‘করাপশন এগেইনস্ট রিপোর্টার্স’ এর আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
নাম উল্লেখ না করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, আবদুল হাই বাচ্চুর নাম যোগ করবো কি করবো না, এ বিষয়ে বলার আপনি কে? হু আর ইউ? এ সময় তিনি প্রশ্ন করা ওই সাংবাদিককে বলেন, কথাটি আপনাকে না, আগে যিনি আবদুল হাই বাচ্চুর নাম যোগ করা হবে কিনা জানতে চেয়েছিলেন তাকে উদ্দেশ্য করে বলা।
ফজলে নূর তাপসের উদ্ধৃতি দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, তদন্ত কি উনি করেছেন? তদন্ত করছে কমিশন। কমিশন যেখানে তদন্ত করছে তখন এই বিষয় নিয়ে তো কথা বলাই উচিত না।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন একটি স্বাধীন কমিশন। কমিশন তার নিজ গতিতে চলে। কমিশনকে চাপে রাখার সুযোগ কারো নেই।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন আরও বলেন, ব্যাংকটির লুটপাটের টাকা মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে চলে গেছে। সেখানে মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল এসিসট্যান্স (এমএলএ) পাঠানো হয়েছে। সেই প্রতিবেদন আসলে তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয়ে আসবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বেসিক ব্যাংক দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার সময় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুকে কেন আসামি করে মামলা করা হচ্ছে না, এ ব্যাপারে দুদক কী করছে- এমন প্রশ্ন তোলেন। এই ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে দুদক চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করতে বলেন তাপস।
তাপস বলেছিলেন, বেসিক ব্যাংক কে’লেঙ্কারি’র ঘটনার মা’মলায় বাচ্চুকে আ’সামি করে চা’র্জশিট দিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা থাকলেও তা অ’মান্য করেছে দু’দক। কী কারণে দু’দক এ রকম কাজ করেছে, এটি জাতি জানতে চায়।
প্রসঙ্গত বেসিক ব্যাংকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা জা’লিয়াতির ঘটনায় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ৫৬ টি এবং পরের বছর আরও পাঁচটি মা’মলা করে দুদক। এসব মা’মলা করার পর ৪০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও অভিযোগপত্র দেয়নি সংস্থাটি। মা’মলায় ব্যাংকার ও ঋণগ্রহীতাদের আ’সামি করা হলেও ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের কাউকেই আ’সামি করা হয়নি।