পচা সরকারই পচা চাল আমদানি করতে পারে: রিজভী
সিটিনিউজ ডেস্ক :: ‘ভোটারবিহীন সরকার পচা সরকার। পচা সরকারই পচা গম-চাল আমদানি করতে পারে। পচা গমের পর এবার আমদানি করা হয়েছে পচা চাল। পচা চাল নিয়ে দেন-দরবার করতে গিয়ে দুদিন আগে ফাঁস হয়ে যায় পচা চালের গোমর। চালগুলো একেবারেই খাওয়ার অনুপযোগী এবং নিম্নমানের। ব্যবসায়ীরা এ কথা বললেও খাদ্য বিভাগ বলছে অত্যন্ত নিম্নমানের।’
আজ শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
রিজভী বলেন, অথচ চাল সংকট ও খাদ্য নিরাপত্তা এবারের সংসদ অধিবেশনে আলোচনায় গুরুত্ব পেল না। সত্যিকার অর্থে যেটা জনসাধারণের মরা-বাঁচার বিষয়।
রিজভী আরো বলেন, ‘ভোটারবিহীন সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন ও লুটেরা নীতির কারণে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ এখন শূন্যের কোঠায়। বিনিয়োগ না হওয়ায় এবং উৎপাদন দিন দিন কমতে থাকায় আমদানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে দেশ। ফলে আমদানি খাতে ব্যয় বাড়তে থাকায় বাইরের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতি বেড়েই চলেছে। সাত বছরের সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতি চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস শেষে এই ঘাটতি দাঁড়িয়েছে গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে চার গুণের বেশি।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘দেশে একদলীয় শাসন বিদ্যমান থাকায় পোশাক রপ্তানিতে ধ্স, সরকারের চরম ব্যর্থতার কারণে বিদেশে কর্মক্ষম শ্রমিক পাঠানো বন্ধ রয়েছে। ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহের ক্রমাবনতি, চামড়াশিল্পে ব্যাপক ধ্স, বিশেষ করে আর্থিক খাতে ভয়াবহ নৈরাজ্য ও লুটপাটের কারণে দেশে বর্তমানে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নেই। যে কারণে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। সুতরাং বর্তমানে ভয়াবহ খাদ্য সংকটের পাশাপাশি সীমাহীন বেকারত্ব যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে কোনোভাবে দুর্ভিক্ষ ঠেকানো যাবে না।’
‘দেশ মহাবিপর্যয়ের মধ্যে থাকলেও সরকারের বিরোধীদল দমনের কোনো কমতি নেই। সীমাহীন ক্ষোভ ও প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে রোহিঙ্গা ইস্যু ও চাল সংকটের মধ্যেও দেশব্যাপী গ্রেপ্তার, হামলা-মামলা, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে’, যোগ করেন রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল প্রমুখ।