সিটিনিউজ ডেস্ক:: আজিমপুরে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে জড়িতদের ধরতে পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যারা বিশৃঙ্খলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা নির্দেশ দিয়েছি। বিশৃঙ্খলা করে কেউ পার পাবে না। লালবাগের ঘটনায় যারা শৃঙ্খলা নষ্ট করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মহানগর পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। আসলে দল ক্ষমতায় থাকলে আদর্শিক কর্মীদের সঙ্গে কিছু পরগাছাও থাকে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে মহিলা আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দলের কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যারাই বিশৃঙ্খলা করেছে অতীতেও বিচার হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশৃঙ্খলাকারীরা কেউ পার পাবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতে অনেক দলের নেতাকর্মী অনেক অপরাধ করে পার পেয়ে গেছে। এসব দল কখনো অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সবসময় কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে শুধু সাংগঠনিক না, প্রশাসনিক ব্যবস্থাও নিয়েছে। সেজন্য সংসদ সদস্য হয়েও কারাগারে থাকা, মন্ত্রী হয়েও আদালতে হাজিরা দেওয়ার ঘটনা দেখা যায়।
আদালতে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে কাদের বলেন, আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে বলেন ন্যায় বিচার পাবেন না। তাহলে আদালতের উপর আপনার বিশ্বাস নেই?
তিনি বলেন, আদালতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বক্তব্য দিয়েছেন। আপনার আত্মপক্ষ বক্তব্য নতুন করে বিশ্ব রেকর্ড হবে। খালেদা জিয়া নিজে বিচার ব্যবস্থাকে বিলম্বিত করছে। সরকার কোনো মামলায় হস্তক্ষেপ করেনি, ভবিষ্যতেও হস্তক্ষেপ করবে না।
দলের সদস্য সংগ্রহে নতুন মহিলা ভোটারদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মহিলারা হবে নির্বাচনের অন্যতম হাতিয়ার। নির্বাচনের জন্য সবাইকে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে সরকারের উন্নয়নের কথা বলেত হবে। এবারের নির্বাচন খুব চ্যালেঞ্জিং হবে।
আগামী ১৮ই নভেম্বরের নাগরিক সমাবেশে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, চার দিকে যে সাড়া পাচ্ছি তাতে এটি জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এটি হবে সর্বকালের সেরা সমাবেশ।
মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা।