এ বিভাগের আরও খবর
সিটিনিউজবিডিঃ বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে, সড়কে যানবাহন চলাচল ছিল তুলনামূলক কম। ফলে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে অফিস ও স্কুল-কলেজগামীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। বিকালে প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় অফিস ফেরত লোকজন সমস্যায় পড়েন। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৫ দশমিক আট মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আজ শুক্রবারও বৃষ্টিপাত হবে। বিকাল ৩টায় সমুদ্র বন্দরে থাকা সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে নদী বন্দরকে ১ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বৃষ্টি পূর্বাভাস অনুসারে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত নগরীর সিডিএ আবাসিক এলাকা, ব্যাপারী পাড়া এবং আগ্রাবাদ এক্সেস সড়ক সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ছিল। বিকালের দিকে এসব এলাকায় পানি নামতে শুরু করে। সকাল ৯টা পর্যন্ত চকবাজারের কিছু অংশে পানি ছিল। তবে বেলা বাড়ার সাথে আর জলাবদ্ধতা ছিল না। নগরীর নিম্নাঞ্চল হিসেবে পরিচিত বাকলিয়া, হালিশহর, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট ও প্রবর্তক মোড়ে বৃহস্পতিবার জলাবদ্ধতা হয়নি। এরআগে গত বুধবারও টানা বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ভারি বৃষ্টি হওয়ায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি স্থাপনকারী ৫০টি পরিবারকে বুধবার নগরীর লালখান বাজারের মতিঝর্ণা পাহাড় থেকে সরিয়ে নেয় স্থানীয় প্রশাসন।