মিতু হত্যার উল্লেখযোগ্য তথ্য নেই পুলিশের প্রেস ব্রিফিংয়ে

নিজস্ব সংবাদদাতা  :    বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মী আবু নছর ওরফে গুন্নুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ ৯ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁকে ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আদালতে আবেদন করা হবে।পুলিশ সুপার  স্ত্রী  হত্যার পাঁচ দিন হলেও তদন্তে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতির কথা জানাতে পারেনি পুলিশ।

আজ ৯মে দুপুর ১২টার দিকে নগর পুলিশের সম্মেলনকক্ষে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
গতকাল বুধবার ভোরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ এলাকা থেকে আবু নছরকে আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এর আগে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ।

অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য ব্রিফিংয়ে আরও বলেন, এ ছাড়া এ ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা মাইক্রোবাসের চালক জানে আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, জানে আলম ঘটনাটি দেখেছেন। তাঁকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তাঁর সঙ্গে অপরাধীদের সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ‘কোনো সম্ভাবনাকে আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। জঙ্গি, উগ্রপন্থী বিভিন্ন অপরাধীদের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন এসপি বাবুল আক্তার। সে জন্য সব বিষয়কে সামনে রেখে কাজ করছি। তবে তদন্তে এখন পর্যন্ত বলার মতো কিছু নেই।

গত রোববার সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন মাহমুদা খানম। হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ জানায়, জঙ্গি দমনে বাবুল আক্তারের সাহসী ভূমিকা ছিল। এ কারণে তাঁর স্ত্রীকে জঙ্গিরা খুন করে থাকতে পারে। এ ঘটনায় গত সোমবার বাবুল আক্তার হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তের মূল দায়িত্বে রয়েছে ডিবি। তবে র‍্যাব, সিআইডি, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিআই) তদন্তে সহায়তা করছে।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.