মেঘনা-গোমতী সেতুতে আবার ঝুঁকি, সংস্কারের উদ্যোগ

0

সিটিনিউজবিডি:- ঝুঁকি দেখা দেওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মেঘনা-গোমতী সেতু সংস্কারে একটি প্রকল্প নিচ্ছে সরকার। মেরামতের দেড় বছরের মধ্যে নতুন এ প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
সেতুর মাঝ বরাবর ৬ নম্বর পিলারের আশপাশের মাটি সরে গিয়ে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাই ঝুঁকি এড়াতে ‘মেঘনা সেতুর স্কাউয়ার প্রটেকশন এবং মেঘনা সেতু ও গোমতী সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ’ শীর্ষক ওই প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।
পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য আরাস্তু খান বলেন, “আমরা বিষয়টি জেনে দ্রুত প্রকল্প তৈরি করে মেঘনা সেতুকে ঝুঁকিমুক্ত রাখার কাজ শুরু করেছি। শিগগির এটি একনেক সভার অনুমোদন নিয়ে কাজ শুরু করা হবে।”
তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দীর্ঘতম এই সেতুতে এখন যান চলাচলে কোনো সমস্যা নেই বলে জানান তিনি।
প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মাধ্যমে সেতুর বিয়ারিং-সম্প্রসারণশীল সংযোগ (এক্সপানশন জয়েন্ট) পুনঃস্থাপন হবে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্পটি সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের পিইসি সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে।
মুন্সীগঞ্জ ও কুমিল্লা সংযোগ করে দুই যুগ আগে নির্মিত ওই সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত ৭, ৮ ও ৯ নম্বর পিলার সংস্কার কাজ হয়েছিল দেড় বছর আগে।
পিইসি সভার কার্যপত্রে দেখা যায়, ২০১৩ সালের ৩০ জুন মেঘনা-গোমতী সেতুর পুনর্বাসনের কাজ শেষ হয়। এরপর ২০১৪ সালের জুন মাসে মেঘনা সেতুর তলদেশে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর একটি পর্যবেক্ষণ জরিপ পরিচালনা করে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওই জরিপ শেষ হয়।
জরিপে দেখা গেছে, সেতুর ১২টি পিলারের মধ্যে নদীর মাঝ বরাবর অবস্থিত ৬ নম্বর পিলারের আশপাশে বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে। তবে আগের পুনর্বাসিত ৭, ৮ ও ৯ নম্বর পিলার অক্ষত রয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রথম পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় সেতু দুটির মোট ৯৬ বিয়ারিং এবং ৩০টি সম্প্রসারণশীল সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.