চট্টগ্রাম অফিস : সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের অবিলম্বে মুক্তি চেয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। একইসঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার, আইসিটি আইনে মামলা দায়ের এবং রিমান্ডে নেয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সিইউজে’র সভাপতি এজাজ ইউসুফী ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস যৌথ বিবৃতিতে তার মুক্তির দাবি জানান।
ফেসবুকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে পোস্ট দেয়ার পর ফরিদপুরের কোতয়ালি থানায় প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপি’র গোয়েন্দা শাখা। সোমবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ফরিদপুরের একটি আদালত।
গ্রেপ্তারের দু’দিন পর সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো সিইউজে’র দুই নেতার বিবৃতিতে বলা হয়, শহীদ পরিবারের সন্তান সাংবাদিক প্রবীর সিকদার ২০০১ সালে ফরিদপুরের যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে দৈনিক জনকণ্ঠে প্রতিবেদন লিখেন। এ কারণে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় তিনি প্রাণে রক্ষা পেলেও একটি পা হারান। এরপর তিনি রাজধানীতে এসে সাংবাদিকতা করতে থাকেন। তারপরও তার প্রতি মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে হুমকি অব্যাহত থাকে।
সম্প্রতি রাজাকার মুসা বিন শমসেরের মুখোশ উন্মোচন করায় আবারও নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়েন। এর ফলে তিনি নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে যান। পুলিশ তার ডায়েরি গ্রহণ না করলে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে ফেসবুকে দেশবাসীর কাছে নিরাপত্তা প্রার্থনা করেন তিনি।
এরপর তাকে ডিবি পুলিশ আটক করে ও পরবর্তীতে ফরিদপুরে আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করে ঢাকা থেকে ফরিদপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
সাংবাদিক নেতারা প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে তার প্রতি মানবিক আচরণ প্রত্যাশা করেন। এছাড়া প্রবীরের পক্ষে ফরিদপুরের কোন আইনজীবী মামলা না লড়ার ঘটনায় বিষ্ময় প্রকাশ করে তার যথাযথ আইনি সহায়তা দাবি করেছেন সাংবাদিক নেতারা।
সিইউজে’র প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইদুল ইসলাম যৌত বিবৃতির সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন।