সাগর উত্তাল, খোজ মেললো না পাইলটের

0

সিটিনিউজবিডিঃসাগর উত্তাল থাকায় নিখোঁজ বৈমানিক তাহমিদ রুম্মানের খোঁজে বেগ পেতে হচ্ছে অনুসন্ধানকারী দলকে। তবে ব্যাঘাত ঘটলেও বঙ্গোপসাগরে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও কোস্টগার্ড।

তল্লাশি অব্যাহত থাকলেও বঙ্গোপসাগরে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিখোঁজের প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরও তাহমিদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

কোস্টগার্ডের পূর্ব জোনের অতিরিক্ত কমান্ডার এম দূরুল হুদা বলেন, সাগর প্রচন্ড উত্তাল। আমাদের কাজে খুব ব্যাঘাত হচ্ছে। সীমিতভাবে তল্লাশি চালাচ্ছি। এ পর্যন্ত নতুন কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই।

সোমবার (২৯ জুন) সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে অভ্যন্তরীণ নিয়মিত উড্ডয়নের অংশ হিসেবে এফ-৭ যুদ্ধবিমানটি উড়াল দেয়।

১১টা ১৪ মিনিটের দিকে বিমানবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সাড়ে এগারোটার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গরের ব্রাভো অ্যাংকারেজে বঙ্গোপসাগরে প্লেনটি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

বঙ্গোপসাগরে থাকা বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি আলেকজান্ডারের ওয়াচম্যান মো.বাবুল বাংলানিউজকে জানান, সাড়ে ১১টার দিকে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে সাগরে পড়তে তিনি দেখেছেন। এরপর তিনি আরেক জাহাজে কর্মরত তার ভাই হায়দার আলীকে ফোন করে বিষয়টি জানান। হায়দার আলী বিষয়টি কোস্টগার্ডকে ‍জানান।

বিমানবটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় পাইলট হাত নাড়েন বলেও দাবি হায়দারের।

দুর্ঘটনার পরপর কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীর তল্লাশি দল ঘটনাস্থলে যায়। নৌবাহিনী তিনটি জাহাজ দিয়ে পুরো দুর্ঘটনাস্থল কর্ডন করে তল্লাশি শুরু করে। কোস্টগার্ডের সিজিএস তৌফিক এবং তিনটি মেটাল শার্কও তল্লাশিতে অংশ নেয়।

প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশ ঘিরে চক্কর দিতে থাকে বিমানবাহিনীর তিনটি হেলিকপ্টার।

সোমবার বিকেল তিনটার দিকে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় বিধস্ত বিমানের পাখার তিনটি অংশের সন্ধান মেলে।

নিখোঁজ বৈমানিক তাহমিদের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। বাবা-মা, ভাইবোনসহ তাহমিদরা ঢাকায় বসবাস করতেন। তাহমিদ চার ভাইবোনের সবার বড়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.