চট্টগ্রামে ফাঁদ পেতে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ,গ্রেফতার ৫

0

সিটি নিউজ,চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে নারীদের দিয়ে ফাঁদ পেতে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে অর্থ আদায়ের অভিযোগে চক্রের হোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার মো. ইমরান নামের একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। পরে ইমরানের মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।

তারা হলেন- দিদারুল ইসলাম প্রকাশ দিদার (৩৫), ফাতেমা ইয়াছমিন নিশি (২৮), বিথিত মাহমুদ মোস্তাফা সিফা (২৩) আনোয়ার হোসেন আনু (৪৪) ও রাকিব আল ইমরান (২৬)।

দলনেতা দিদারের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে পাহাড়তলী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। এ ছাড়া নিশির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ইপিজেড থানার একটি মামলা আছে। আনোয়ারের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে বায়েজিদ থানায় মাদক আইনে একটি, ২০১২ সালে কোতোয়ালী থানায় অস্ত্র আইনে ও ২০১৫ সালে বায়েজিদ থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়।

শনিবার বেলা ১২টায় এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মেহেদী হাসান বলেন, নগরে দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটি চক্র নারীদের ব্যবহার করে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করে আসছিল। এর মধ্যে একটি চক্রের ৫ জনকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।

চট্টগ্রামে ফাঁদ পেতে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ,গ্রেফতার ৫

‘তাদের কৌশল ছিল নারীদের দিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী ও বিত্তশালী লোকদের প্রথমে প্রেমের ফাঁদে ফেলা এবং পরে বাসায় ডেকে এনে অশ্লীল ছবি ও ফুটেজ ধারণ করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া। ওই চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে ইতিমধ্যে ৪০ থেকে ৫০ জন ব্যক্তি লাখ লাখ টাকা হারিয়েছেন।’

কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গত ২ মার্চ রাত ১০টার দিকে কাজীর দেউড়ি এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে সিএনজি অটোরিকশা থামিয়ে ইমরান নামের এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চোখ বেধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাঁচলাইশ থানাধীন চশমা হিল এলাকার একটি বাসায় নেয়া হয় তাকে।

‘সেখানে দুই নারীর সাথে জোর করে আপত্তিকর অবস্থায় ছবি তোলা হয়। এসব ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ করবে এবং প্রাণে মেরে ফেলবে এমন ভয় দেখিয়ে ২ লাখ টাকা দাবি করা হয়। বিকাশে ৫০ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ৩ মার্চ বিকেল ৫টার দিকে ছাড়া পান ইমরান।’

অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টায় থানায় এসে অভিযোগ করেন ইমরান। এরপর দিনভর পাঁচলাইশ, হালিশহর ও বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) আবদুর রউফ বলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে গ্রেফতারকৃতরা। তাদের বাসার ড্রইং রুমে হালকা আসবাবপত্র থাকলেও বাকি রুমগুলোতে কোন কিছু থাকে না।

বাসা ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়িওয়ালারা সতর্ক থাকলে ও পুলিশের সহযোগিতা নিলে এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে জানান চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মেহেদী হাসান।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.