আপনার মাঝে আমার মায়ের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাই প্রধানমন্ত্রীকে নুর

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ সদ্য নির্বাচিত ডাকসু ভিপি নুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সংসদকে কার্যকর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা চেয়েছেন । এ সময় তিনি ঢাবির আবাসন সঙ্কট দূর করার দাবিও জানান।

আজ শনিবার (১৬ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণে গণভবনে যান নুর। বেলা সোয়া ৩টার দিকে গণভবেন পৌঁছান হল সংসদের ২৩৪ এবং ডাকসুর কেন্দ্রীয় ২৫ জনসহ ২৫৯ জন নেতা। এ সময় নুর এসব দাবি জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর বলেছেন, ছোটবেলায় আমি মাকে হারিয়েছি। আপনার মাঝে আমি আমার মায়ের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাই। তখন প্রধানমন্ত্রী তাকে পাশে বসান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে সালাম করেন নুর।

ডাকসু ভিপির বক্তব্য দেয়ার পর আমন্ত্রিত নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে বক্তব্য রাখেন ডাকসু সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরাও বক্তব্য রাখেন।

আজ বেলা ২টা থেকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আসতে শুরু করেন ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচিতরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি বাসে তারা গণভবনে পৌঁছান।

সবার শেষে বেলা ৩টার দিকে একটি প্রাইভেটকারে গণভবনে পৌঁছান ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। ওই গাড়িতে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেনও ছিলেন।

গত ১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, ডাকসু এবং হল সংসদের নির্বাচনে বিজয়ী ছাত্র নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন শনিবার। পরে ভিপি নুর ও জিএস গোলাম রাব্বানীসহ অন্য নবনির্বাচিত নেতারাও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দীর্ঘ ২৮ বছর পর গত ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

ডাকসুতে ২৫টি পদের মধ্যে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে জিএস ও এজিএসসহ ২৩টিতেই জয়ী হন। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্যানেল থেকে ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্যানেল থেকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর ভিপি এবং ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী জিএস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন এজিএস নির্বাচিত হন।

এছাড়া, এ নির্বাচনে বিএনপিপন্থী সংগঠন ছাত্রদল খুবই খারাপ ফল করে। ১৯৯০ সালের ডাকসু নির্বাচনে তারা অধিকাংশ পদে জয়ী হলেও এবার সংগঠনটি একটি পদও নিজেদের করে দিতে পারেনি। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের মধ্যে ছাত্রলীগ ১২টিতে ভিপি ও ১৪টিতে জিএসসহ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। বাকি ৬টি হলে ভিপি পদে এবং ৪টিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্যানেল জিতেছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.