নিজস্ব প্রতিবেদক:: কমিটির জন্য হা-হুতাশ কম ছিল না। কারণ ৩৪ বছর ধরে কমিটি বঞ্চিত ছিল চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ। কিন্তু কমিটি পেয়েই বিক্ষোভে নামে তিনভাগে বিভক্ত কলেজ ছাত্রলীগ। লিপ্ত হয় সংঘর্ষ ও ভাঙচুরে। করেন সড়ক অবরোধ ও ককটেল বিস্ফোরণ। চট্টগ্রাম কলেজ ও আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এমন পরিস্থিতি ছিল গতকাল মঙ্গলবার দিনভর। এতে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় মানুষের নানা দুর্ভোগ। আতঙ্কিত হয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা।
আর এসবের নীরব সাক্ষি ছিলেন কলেজ ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা শত শত পুলিশ। ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণে কোনো আইনি পদক্ষেপ ছিল না পুলিশের। তবে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা দুপুর ২টার দিকে এসে চকবাজার সড়কে দেয়া ব্যারিকেড সরিয়ে নেয়ার পর যানবাহন চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, সোমবার রাতে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের ২৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ। এতে মাহমুদুল করিমকে সভাপতি ও সুভাষ মল্লিক সবুজকে সাধারণ সমপাদক করে কমিটি অনুমোদন দেয় নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হাসান ইমু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সমপাদক দস্তগীর চৌধুরী।
মাহমুদুল করিম প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী এবং সবুজ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির অনুসারী। আর এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্যামপাসে বিক্ষোভ শুরু করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। নতুন কমিটিতে পদ পাওয়া মেয়রের ছয়জন অনুসারী কমিটি থেকে পদত্যাগও করেন। যারা ক্যামপাস থেকে বের হয়ে চট্টগ্রাম কলেজের সামনে সড়কে অবস্থান নেন। তারা সড়কের উপর টায়ার জ্বালিয়ে দেন। এ সময় ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষুব্ধ কয়েকজন নেতাকর্মী এ সময় কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করেন।