বিসিবির হাই পারফরম্যান্স জুন মাসে শুরু

0

জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়ার কথা বিসিবির হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের কার্যক্রম। সে লক্ষ্যে সোমবার ২২ সদস্যের হাই পারফরম্যান্স দল ঘোষণা করা হয়েছে। এ দলে সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও লিটন কুমার দাস। তাদের সঙ্গে রয়েছেন জাতীয় দলে খেলা বেশ ক’জন তরুণ ক্রিকেটারও।

হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের চেয়ারম্যান ও বিসিবির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব আনাম বলেন, ‘জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত- এ চার মাস সময় ধরে নিবিড় অনুশীলন করবেন এই দলে জায়গা পাওয়া ক্রিকেটাররা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য সেরা প্রস্তুতির ক্রিকেটার তৈরির জন্য হাই পারফরম্যান্স প্রোগ্রামের একমাত্র লক্ষ্য।’

যাদের হাতে আজকের বাংলাদেশের ক্রিকেট। যারা বিশ্বমঞ্চে ওড়াচ্ছে বাংলাদেশের পতাকা। ভবিষ্যতের ক্রিকেটার তৈরীর সেই কার্যক্রম থেকে গিয়েছিল ২০০৭ সালে। প্রায় ৮ বছর পর এসে হাই পারফরম্যান্স ইউনিটটি আবারও কার্যকর করার প্রয়োজন অনুভব করলো বিসিবি এবং পরিকল্পনা মতো কাজও শুরু কর দিচ্ছে তারা। ভবিষ্যতের সাকিব-মুশফিকদের খুঁজে বের করতে আপাতত ২২জন ক্রিকেটার নিয়ে শুরু হচ্ছে হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের নতুন কার্যক্রম।

এবারের পরিকল্পনায় রয়েছে কিছু নতুন সংযোজন। এইচপির মূল কার্যক্রমই হবে এখন জাতীয় দলের প্রয়োজনের ওপর জোর দেওয়া। এ কথাই সোমবার সংবাদ সম্মেলনে জানান এইচপি ইউনিটের চেয়ারম্যান ও বিসিবির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব আনাম।

শুধু জাতীয় দলের প্রয়োজনই নয়, পর্যায়ক্রমে এইচপি ইউনিটের আওতায় আলাদা আলাদা করে পেস বোলার, ব্যাটসম্যান স্পিন বোলার এবং উইকেটরক্ষক বের করে আনারও কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ফিল্ডিং নিয়েও থাকছে আলাদা পরিকল্পনা। সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তান সিরিজে যেভাবে পেসার সংকটে পড়তে হয়েছিল বাংলাদেশকে, তা থেকে উত্তরনের জন্যই আলাদা করে পেস বোলার বের করে আনার কার্যক্রম হাতে নেবে এইচপি ইউনিট।

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৩ সালের বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে ২০০৪ থেকে ২০০৭ সালে হাই পারফরম্যান্স প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া হয়েছিল। এখন দল ভালো অবস্থানে আছে। তাই এবারের লক্ষ্য আরো এক ধাপ এগুনো।’

এইচপি ইউনিটের ডিরেক্টর অব কোচিং হিসেবে থাকবেন পল টেরি, প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করবেন ম্যাল লয়। মহাব্যবস্থাপক হিসেবে থাকবেন স্টুয়ার্ট কার্পিনেন। স্টুয়ার্ট কার্পিনে জানান, আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়দের সুনির্দিষ্ট উন্নয়নই হবে তাদের লক্ষ্য।

হাই পারফরম্যান্স প্রোগ্রামে স্থানীয় কোচদের মধ্যে থাকবেন সারওয়ার ইমরান, এহসান, ওয়াহিদুল হক ও গোলাম মুর্তজা। এছাড়া কনসালটেন্ট হিসেবে থাকবেন মোহাম্মদ রফিক ও খালেদ মাসুদ পাইলট।

এবার হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের বাজেট প্রায় ৮ কোটি টাকা বলে জানান মাহবুব আনাম। তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘আগামী মৌসুমে বাংলাদেশের প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন ব্যাচ গঠন করা হবে। প্রতিটি খেলোয়াড়ের অনুশীলনের সকল তথ্য এখন থেকে সংরক্ষণ করা হবে।’

এছাড়া হাই পারফরম্যান্স প্রোগ্রাম সম্ভাবনাময় তরুণ খেলোয়াড়দের বিকশিত করার জন্য সহায়ক হবে। ২০০৪ সালের এই কর্মসূচি দিয়ে উঠে আসেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমরা। তারাই এখন ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভরসা বলে জানান তিনি।

হাই পারফরম্যান্স স্কোয়াড : রনি তালুকদার, লিটন দাস, সাদমান ইসলাম, তাসামুল হক, মাহমুদুল হাসান, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন, তাইবুর রহমান, জুবায়ের হোসেন, সাকলাইন সজীব, নিহাদ-উজ-জামান, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, আবু জায়েদ চৌধুরী, শুভাশীষ রায়, মেহেদি হাসান, কামরুল ইসলাম রাব্বি, দেওয়ান সাব্বির আহমেদ, নুরুল হাসান, জাবিদ হোসেন ও ইরফান শুক্কুর।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.