মাটির ভার বহনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সিমেন্টের ব্যবহার

চট্টগ্রাম : সাদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর পুরকৌশল বিভাগের উদ্যোগে “ মাটির ভার বহনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সিমেন্টের ব্যবহার” শীর্ষক সেমিনার সম্প্রতি সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাদার্ন ইউনিভার্সিটির পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার এম আলী আশরাফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষিকা ইঞ্জিনিয়ার বিবি রোকেয়া। সেমিনারে শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ইঞ্জিনিয়ার বিবি রোকেয়া তাঁর প্রবন্ধে উল্লেখ করেন- বিল্ডিং অথবা অন্যান্য কাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রায়শই গভীর ফাউন্ডেশন যেমন পাইল ব্যবহার করা হয় এতে করে নির্মাণ খরচ অনেক বেড়ে যায়। ছোট অথবা মাঝারি স্থাপনার ক্ষেত্রে বেসের মাটিতে সিমেন্ট ব্যবহার করে স্ট্যাবিলাইজেশনর মাধ্যমে অগভীর অর্থাৎ প্রচলিত সাধারণ ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা সম্ভব। ফাউন্ডেশনের বেসের মাটিতে তিন থেকে ছয় শতাংশ সিমেন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে ভার বহন ক্ষমতা নয়গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব বলে জানান ইঞ্জিনিয়ার বিবি রোকেয়া।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে বেস কোর্সে মাটির সাথে সামান্য পরিমাণ সিমেন্ট ব্যবহার বিটুমিনের পেভমেন্টের পুরত্ব অনেক কমিয়ে আনতে সহায়তা করে। সিমেন্ট ব্যবহার করলে বেস কোর্সের লোড বহন ক্ষমতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায় বলে এটা সম্ভব হয়। এতে নির্মাণ খরচ অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার এম. আলী আশরাফ এই ধরণের গবেষণার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত পদ্ধতিকে কাজে লাগাতে পারলে সাধারণ মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে। এই পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারলে বিল্ডিং এর ফাউন্ডেশনের রিকুয়ারমেন্ট কমিয়ে আনা যাবে এবং অহেতুক খরচের পরিমাণ কমবে। তাছাড়া গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাট দোঁ আশ মাটি দিয়ে নির্মিত হওয়ার কারণে ভার বহন ক্ষমতা অনেক কম এবং বর্ষাকালে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়। এই দোঁ আশ মাটিতে লাইম ব্যবহার করার পর অল্প পরিমাণ সিমেন্ট ব্যবহার করলে এটা দিয়ে নির্মিত রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারবে এবং পানি নিষ্কাশন বৃদ্ধি পাওয়াতে বর্ষাকালেও ব্যবহার উপযোগী থাকবে।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.