রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেবে ঐক্যফ্রন্ট
সিটি নিউজ ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরিতে এবার রাষ্ট্রপতির সহায়তা চেয়ে চিঠি দেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। দু-একদিনের মধ্যেই ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে এ চিঠি দিচ্ছেন।চিঠিতে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় ঐক্যফ্রন্টের অসন্তোষের কথা জানানো হবে। নির্বাচনের বর্তমান পরিবেশ সব দলের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে’র উপযোগী নয় বলেও জানাবে জোটটি।
সংবিধান অনুযায়ী দেশের অভিভাবক রাষ্ট্রপতিকে এ ব্যাপারে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাবে নির্বাচনী এই জোট। ঐক্যফ্রন্টের উচ্চপর্যায়ের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সংবিধানের ১১৮(৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবে এবং কেবল সংবিধান ও আইনের অধীনে হবে। তবে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতি দেখে কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে বলে মনে হয় না। এ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি। কমিশন নিজেই আচরণবিধি ভঙ্গ করছে। নির্বাচনের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি হয়নি। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার এখনও সরকারের উন্নয়নের খবর বারবার প্রচার করছে, তারা কোনো নিরপেক্ষতা বজায় রাখছে না। বিরোধী দলের সংবাদ প্রচার করা হয় না। বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতারও বন্ধ হয়নি। এসব সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়।
সূত্র জানায়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকারি দলের নেতাকর্মীদের ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করছে ঐক্যফ্রন্ট। পর্যবেক্ষণে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের ভূমিকা নিরপেক্ষ নয় বলে মনে করছেন তারা। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না বলে তাদের চোখে দৃশ্যমান।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ দৃশ্যমান হচ্ছে না। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে বলে মনে হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সংবিধানে ১২৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য। তবে সংবিধানের এ অর্পিত দায়িত্ব পালনে ইসি নিষ্ক্রিয় বলে মনে হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি।