চট্টগ্রামে ভূয়া এসি ডিবি গ্রেফতার

0

সিটি নিউজ, চট্টগ্রামঃঃ  চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি পুলিশের ভূয়া এসি পরিচয়দানকারী মো. ফিরোজ আলম চৌধুরী নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে। মিরসরাই থানার সাহেরখীল গজারিয়া এলাকা হতে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট শনিবার  সোয়া ৬টায় তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত কথিত এসি ডিবি পরিচয়দানকারীর নাম মোঃ ফিরোজ আলম চৌধুরী  প্রকাশ  আলম সাহেব (৬০), পিতা-মৃত গোলাম সামদানী, সাং-বড় বাড়ি, গজারিয়া, সাহেরখালী, থানা-মিরসরাই, জেলা-চট্টগ্রাম।

মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-পশ্চিম) জনাব এ এ এম হুমায়ুন কবির এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক জনাব আফতাব হোসেন, এসআই শিবেন বিশ্বাস, এএসআই সাদেক মোঃ নাজমুল হক ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সাহেরখালীতে অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশের ভূয়া এসি পরিচয় প্রদানকারী প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত ফিরোজ আলম চৌধুরী নিজেকে ডিবি পুলিশের এসি এবং তার সহযোগীকে আইজিপি’র পিএস পরিচয় দিয়ে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ করিয়ে দিবে মর্মে  হাজী মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৫৯) এর কাছ থেকে গত ২ ফেব্রুয়ারি ১লাখ ৫০হাজার টাকা নেন।

সিরাজুল ইসলামের বাড়ী গোপালগঞ্জ কোটালিপাড়া সিতাইকুন্ড গ্রামে। তিনি নিউমার্কেটস্থ ইরানী ফ্যাশন হাউজ এর মালিক। তার বন্ধুর ছেলে মোঃ মোরশেদ এবং তৌহিদুলকে এসআই পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে তাদের নিয়ে ঢাকায় যান। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ঘোরাফেরা করে তাদের আশ্বস্থ করেন, আইজিপি’র সাথে কথা হয়েছে, চাকুরী হবে।

গত ২ফেব্রুয়ারি তারিখ ঢাকাস্থ ইমপেরিয়াল হোটেলে অবস্থানকালীন চাকুরী হয়েছে মর্মে জানিয়ে তারা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহন করে। পরবর্তীতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারিত এসআই নিয়োগের শারীরিক মাপ চলাকালীন সময়ে প্রার্থীদ্বয়কে দামপাড়া পুলিশ লাইন মাঠে কৌশলে একপাশে দাড় করিয়ে রেখে আরো দুই লক্ষ টাকা গ্রহন করে।

আইজিপি-র পিএস পরিচয় দানকারী আবুল কাশেম চৌধুরীর ঠিকানায় ১১হাজার ৫শ টাকার শুটকী মাছও কুরিয়ারের মাধ্যমে গ্রহন করেন জানান। গত ১মার্চ তারিখ থেকে উক্ত প্রতারককে ফোন দিয়ে না পেয়ে হাজী মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিএমপি’র ডিসি-ডিবি (বন্দর) মহোদয়কে বিষয়টি অবহিত করেন। তার কথামতো উক্ত প্রতারকদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করে।

মামলার সূত্র ধরে উক্ত প্রতারক ফিরোজ আলম চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর সে ডিবি পুলিশকে প্রতারনা করে পালানোর কৌশল অবলম্বন করেও ব্যর্থ হয়। নিজে নিজের জিহ্বায় কামড় দিয়ে রক্তবমির ভান করে। বর্তমানে সে পুলিশ প্রহরায় চ.মে.ক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে সে তাহার অপকর্মের কথা অকপটে স্বীকার করে পালানোর কৌশল হিসেবে আপন জিহ্বায় কামড় দেওয়ার পদ্ধতি অবলম্বন করে বলে পুলিশ জানায়। প্রতারনার কৌশল হিসেবে প্রতারকরা ঘটনার সময় পুলিশের পি-আাপ গাড়ীও ব্যবহার করে বলে অভিযোগে জানা গেছে। এসমস্ত প্রতারকরা কি করে পুলিশের গাড়ী ব্যবহার করল, তাদের সাথে পুলিশের কে কে জড়িত তাও খুজে বের করা দরকার বলে মনে করেন ভূক্তভোগীরা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.