আমি কোনো ভয় পাইনাঃ জাফর ইকবাল
সিটি নিউজ ডেস্কঃঃ সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, আমি কোন ভয় পাইনি, ভবিষ্যতেও পাবোনা, আমার মনে হয় আমার ভিতর কোনো ভয়ই কাজ করে না।
রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমইএইচ) চিকিৎসা শেষে সিলেটে যাওয়ার প্রাক্কালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় পাশে ছিলেন তার স্ত্রী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইয়াসমিন হক।
জাফর ইকবাল আরও বলেন, আমার শারীরিক অবস্থা এখন ভালো। কোনো অসুবিধা নেই। ডাক্তার আমাকে ১৮ তারিখে দেখা করতে বলেছেন। আমার মাথায় চারটা সেলাই করা হয়েছে। তাই আমি বাচ্চাদের মতো মাথায় টুপি পড়ে আছি। যাতে আঘাতটা কেউ দেখতে না পারে। মাথার সেলাই কেটে দেয়া হয়েছে। আমার হাতে সেলাই আছে। পিঠে সেলাই আছে। আমি খুবই ভালো রোগী।
জাফর ইকবাল বলেন, আমার বাম হাতটা আঘাতে অচল হয়েছিল। সৌভাগ্যক্রমে ডান হাতটা ভালো ছিল বলে হাসপাতালের বিছানায় থেকে লিখতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, মুক্তমঞ্চে যে জায়গায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলাম প্রথমে সেখানে গিয়েই আমার শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলবো। তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে তার বক্তব্য কি জানতে চাইলে জাফর ইকবাল বলেন, বাংলাদেশ একটি সুন্দর দেশ। তোমরা দেশকে ভালোবাস। দেশ তোমাদের ভালোবাসবে।
গত ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে এক অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাতে তিনি আহত হন। সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে রাজধানীর সিএমএইচে আনা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) অধ্যাপক ও জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে চিকিৎসা শেষে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে রিলিজ দেয়া হয়েছে। আজ বুধবার (১৪ মার্চ ) সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
আন্তঃবাহিনী গণসংযোগ পরিদফতরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম শাম্মী জানান এসময় ড. জাফর ইকবালকে তার চিকিৎসার সঙ্গে সম্পৃক্ত সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সিএমএইচে তাকে ফুল দিয়ে বিদায় জানান।
১৯৯৪ সালের ৪ ডিসেম্বর মুহম্মদ জাফর ইকবাল শাবিপ্রবিতে সিএসই বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তারপর থেকে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন।
এদিকে, জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী ফয়জুরের বড় ভাই এনামুল ও তার বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম এবং মামা ফজলুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।