ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষার বিকল্প নাই
সিটি নিউজ ডেস্ক : চন্দনাইশ উপজেলাস্থ আলহাজ্ব মোহাম্মদ শের আলী খান প্রতিষ্ঠিত পশ্চিম চর-বরমা গাউসিয়া তৈয়্যবিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা ও হাজী মফজল-রওশন হেফজখানা-এতিম খানার সালনা জলসা ও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) গত ১৬ মার্চ শুক্রবার দিনব্যাপী মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জলসায় খতমে কোরআন, খতমে গাউছিয়া শরীফ, খতমে খাজে গান ও ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। জলসায় প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
সমাজসেবক আলহাজ্ব মোঃ নবাব মিয়া (মুনির)’র সভাপতিত্বে প্রথম অধিবেশনে প্রধান বক্তা ছিলেন চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব আবু আহমদ জুনু, মুহাম্মদ আহসান ফারুক, শিক্ষাবিদ জাবেদ মোহাম্মদ গউচ মিল্টন, মোঃ শওকত হোসেন ফিরোজ। দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ শের আলী খান।
প্রধান অতিথি ছিলেন আঞ্জুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহসিন। প্রধান ওয়ায়েজ ছিলেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার শায়খূল হাদিস শেরে মিল্লাত আল্লামা মুফতি ওবাইদুল হক নঈমী (ম জি আ)। প্রধান আলোচক ছিলেন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ (কমিশনার)।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চন্দনাইশ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মুহাম্মদ সোলায়মান ফারুকী, মুহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মাস্টার। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মুহাম্মদ মামুন উদ্দিন সিদ্দিকী ও জিএম শাহাদত হোসাইন মানিক’র যৌথ সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম। বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল গফুর খান, মুহাম্মদ ইদ্রিচ চৌধুরী, এড. মোজাম্মেল হক, মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক তালুকদার, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বাবুল, আলহাজ্ব মাওলানা মাশুকুর রহমান।
সভায় বক্তারা বলেন, আচরণে ও কর্মে ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধনই শিক্ষার উদ্দেশ্য। নৈতিক শিক্ষার সঙ্গে যেসব বিষয় সরাসরি সম্পর্কিত সেগুলো হলো সুশাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, দুর্নীতি দমন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা ইত্যাদি। আচরণে অভিষ্ট ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধনের জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তথ্য প্রদান বা জ্ঞান দান করাকে শিক্ষা বলে। আর ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষার বিকল্প নাই।
বর্তমানে বস্তুবাদী শিক্ষা ও আর্থসামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় আমাদের সমাজকে করেছে কলুষিত, জাতিকে করেছে কলঙ্কিত, দেশকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ। এ পরিস্থিতিতে ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা জানা, অবক্ষয়পীড়িত সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা, দেশপ্রেম জাগ্রত সুনাগরিক তৈরির জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা অনন্য ভূমিকা রাখছে। বক্তারা আরও বলেন, জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসবাদ বর্তমানে বৈশ্বিক সমস্যা। নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা ও চর্চাই পারে তরুণ প্রজন্মকে জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসবাদ থেকে দূরে রাখতে।
সভায় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মুহাম্মদ আবুল হাসনাত, মাওলানা আনোয়ার হোসেন, মাওলানা আব্দুল মান্নান চৌধুরী, মুহাম্মদ শফিউর রহমান, মঞ্জুর আলম সোহেল, মোঃ আবু ছিদ্দিক, শের আলী মাস্টার, মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, নাছির উদ্দিন (নাছু সওদাগর), আলহাজ্ব মুহাম্মদ পেয়ার আলী খান, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মতিন, ডা. মুহাম্মদ শাহ আলম, মাওলানা মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন চৌধুরী, মুহাম্মদ আব্দুল মালেক, মুহাম্মদ আবু সৈয়দ মিন্টু, মাওলানা মুহাম্মদ দিদারুল আলম, মুহাম্মদ মঞ্জুর আলম চৌধুরী, ইউপি সদস্য মুহাম্মদ শাহ্ আলম, মাওলানা গাজী শহিদুল হক হোছাইনী, মাওলানা মুহাম্মদ আমিন আলকাদেরী, মাওলানা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আলকাদেরী, কাজী জাকের হোসাইন, জসিম উদ্দিন সাগর, মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জনি, মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জিকু, মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মুহাম্মদ হামিদুর রহমান, মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন মিয়া, মুহাম্মদ ফোরকান সওদাগর, মুহাম্মদ আজিজ মিয়া, মুহাম্মদ বখতেয়ার সওদাগর, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।