উন্নয়নের মহাসড়কে খানা-খন্দক কেন : এরশাদ
গোলাম সরওয়ার,চট্টগ্রাম : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেন,দেশে নাকি উন্নয়নের গণজোয়ার চলছে, বর্তমানে উন্নয়ন হচ্ছে না- দুর্নীতির গণজোয়ার চলছে। আপনারা দেখুন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসতে আগে ৫ ঘণ্টা লাগতো, এখন লাগে ১৫ ঘণ্টা সময়। উন্নয়নের মহাসড়কে এতো খানা-খন্দক কেন,রাস্তা-ঘাট বেহাল ।
চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে শনিবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত জাতীয় জোট নেতা ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান।
এরশাদ বলেন, আজকে দেশের মানুষ শান্তিতে নেই, এই অরাজক পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চাই। গরিব, দুঃখি, মেহনতি মানুষ খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছে। চালের দাম ৬০-৭০ টাকা, মানুষের ক্রয়ের সামর্থ নাই। আমার আমলে দেশের মানুষ শান্তিতে ছিল, খুন-রাহাজানি ছিল না- চাঁদাবাজি ছিল না। আমার সময় ইয়াবা ছিল না। এখন চায়ের দোকানেও ইয়াবা পাওয়া যায়। দেশের নতুন প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, তাদেরকে বাঁচাতে হবে।
তিনি বলেন, আমাকে দেশের কিছু মানুষ স্বৈরাচারী বলেন, অথচ বর্তমান সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বৈরাচারী ঘোষণা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা বলছে, স্বৈরাচার আমরা না। স্বৈরাচার হচ্ছে বর্তমান সরকার।
আজ লালদীঘি ময়দানে মোমবাতির গণজোয়ার দেখে আমি উজ্জ্বীবিত হয়েছি। ইনশাল্লাহ্ মোমবাতির আলো নিয়ে জাতীয় পার্টি-ইসলামী ফ্রন্ট রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে।
তিনি ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান, মহাসচিব এম এ মতিন ও জিয়াউদ্দিন বাবলু এম.পির হাত ধরে আগামীতে তাদেরকে সংসদে পাঠানোর জন্য লক্ষ জনতাকে হাত তুলে ওয়াদাবদ্ধ করেন। আমার সময় যে উন্নয়নের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল সেটি চট্টগ্রামে আবার হবে ইনশাল্লাহ্। তিনি মোমবাতি প্রতীক দেখিয়ে বলেন, আপনারা মোমবাতি এবং লাঙ্গল প্রতীকের যে গণজোয়ার দেখিয়েছেন, তাতে প্রমাণিত হয় আগামীতে সরকার গঠন করবে জাতীয় পার্টি ও ইসলামী ফ্রন্টের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোট।
এরশাদ আরো বলেন, দেশে নির্বাচন হয় সিল মারার নির্বাচন, আগামীতে সিল মারার নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না । তিনি আরও বলেন, সিল মারার নির্বাচন হলেও আগামীতে জাতীয় পার্টিকে কেউ হারাতে পারবে না।
জোটের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, ‘আমরা যদি এক থাকি, আমাদের কেউ হারাতে পারবে না। সিল মারার নির্বাচন করলেও হারাতে পারবে না। আমরা সিল মারতে দেবো না। নো সিল, নো সিল। নির্বাচন করেই ক্ষমতায় আসতে হবে।’
নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার দাবি করে তিনি বলেন, অতীতে নির্বাচন হয়েছে, কারচুপি হয়েছে। এখন তো নির্বাচনই হয় না। সিল মারার নির্বাচন হয়। আমরা তো সিল মারতে পারব না। সিল মারা বন্ধ করার জন্য শক্তি অর্জন করতে হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে লোক থাকতে হবে। সিল মারা বন্ধ করতে হবে।
এরশাদ বলেন, আমরা এক কেন্দ্রীক সরকার চাই না। এখন সরকার চালায় একজন মানুষ। কাল যদি বলে ওই লোকটা নাই, তো নাই। কেউ বলতে পারবে না, সে কোথায়। গোয়েন্দা-পুলিশকে জিজ্ঞেস করলে বলবে, জানে না। কয়দিন পরে তার মৃতদেহটা পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমরা জীবনের নিরাপত্তা চায়। আমার ছেলের নিরাপত্তা চাই। প্রতিবেশীর নিরাপত্তা চাই। কিন্তু কারও জীবনের নিরাপত্তা নেই। কখন কে খুন হবে, কখন কে গুম হবে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না।এই বক্তব্যের পর রসিকতার হাসি হেসে এরশাদ বলেন, ‘আল্লাহ জানেন, কাল আবার জেলে যাই কি না, কী হয় বলা যাবে না!
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, স্বৈরাচার আখ্যা পেয়েছেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র থেকে। আমাকে স্বৈরাচার বলতেন আপনারা। মানুষ বলে নাই। মানুষ এখনও বলে, এরশাদ সাহেবের আমলে ভালো ছিলাম।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, ১৬ কোটি মানুষকে একজন শাসন করবে, এটা কোথাও নেই, হতে পারে না। একজন শাসন করবে দেশ। এটা পৃথিবীতে নেই।দেশ নাকি উন্নয়নের মহাসড়কে। উন্নয়নের মহাসড়কে এত খানা খন্দক কেন, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যেতে আগে সময় লাগত পাঁচ ঘণ্টা। এখন লাগে ১৫ ঘণ্টা। ঢাকা থেকে রংপুর যেতে সময় লাগে ১৫ ঘণ্টা। আসলে আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে নয়, দুর্নীতির মহাসাগরে হাবুডুব খাচ্ছি। এর থেকে ১৬ কোটি মানুষকে উদ্ধার করতে হবে।তিনি বলেন, শেয়ারবাজার ধ্বংস হয়ে গেছে। ব্যাংকগুলো লুট হয়ে গেছে। সব ধ্বংস হয়ে গেছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় পচন ধরেছে। জিপিএ ফাইভ পায়, ইংরেজিতে নাম লিখতে পারবে না। আগে পাস করা কঠিন ছিল, এখন ফেল করা কঠিন। সবাইকে পাস করাতে হবে, না হলে শিক্ষামন্ত্রীর চাকরি থাকবে না। শিক্ষামন্ত্রী সংসদে বলেছেন, ঘুষ খান কিন্তু সহনীয় পর্যায়ে। তিনি এখনও মন্ত্রী আছেন। আমি হলে ঝেটিয়ে বের করে দিতাম।
এরশাদ বলেন, কথা ছিল ক্ষমতায় গেলে ১০ টাকায় চাল খাওয়াবেন। ঘরে ঘরে চাকরি দেবেন। কিন্তু এখন দেশের অবস্থা কী- ৪ কোটি ৮৬ লাখ বেকার, কাজ নেই। তারা সংসারের বোঝা, সমাজের বোঝা। হতাশ হয়ে তারা মাদক খাচ্ছে, ইয়াবা খাচ্ছে। এখন পথে-ঘাটে, চায়ের দোকান, সিগারেটের দোকান, বিড়ির দোকানে ইয়াবা পাওয়া যায়। মানুষের পকেটেও ইয়াবা পাওয়া যায়। আমার সময় তো ইয়াবা ছিল না।
ক্ষমতায় গেলে সুশাসন দেওয়ার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়। এভাবে মানুষ বাঁচতে পারে না। ১৬ কোটি মানুষকে উদ্ধার করতে হবে। আমি কথা দিয়ে গেলাম, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবই। বেশি দিন আর বাঁচব না। মৃত্যুর আগে দেখতে চাই এই দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। আগামী নির্বাচনে আমরা জয়ী হয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করব।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান বলেন, বড় দুই জোটের রেষারেষি হিংসাত্মক ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে দেশবাসী আজ পরিবর্তন চায়। দুই জোটের শাসন-শোষণে দেশবাসী বারবার নিষ্পেষিত ও নিপীড়িত হচ্ছে। দেশবাসী বিদ্যমান অরাজকতা ও বিদ্বেষের রাজনীতির অবসান চায়। দেশবাসীর প্রত্যাশার আলোকে দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সম্মিলিত জাতীয় জোটের পুনরায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনার বিকল্প নেই। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান বলেন, জাতির মেরুদন্ড শিক্ষাব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিতে আজ নানামুখী দুরভিসন্ধি চলছে। অযোগ্য, অথর্ব মূলধারার থেকে বিচ্ছিন্ন কওমি শিক্ষাব্যবস্থার সনদের সরকারি স্বীকৃতি একটি আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত। তা অচিরেই টের পাওয়া যাবে।
আল্লামা এম এ মান্নান বলেন, দেশে সুশাসন ও প্রকৃত গণতন্ত্র চর্চা আজ সংকুচিত হয়ে পড়েছে। শেয়ারবাজারে ধস, ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে পড়া, নিয়োগ পরীক্ষাসহ সকল পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে জাতিকে মেধাশূন্য করার চক্রান্ত, সারাদেশে মাদকের অবাধ সয়লাব, নারী-শিশু ধর্ষণ ও হত্যাকা-, অপহরণ-খুন-গুম আতংক, সরকার দলীয় ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নিরবচ্ছিন্ন কলহ ও হানাহানিতে শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য পরিস্থিতি, বিদেশে অর্থ পাচার, উন্নয়ন প্রকল্পের নামে হরিলুট, জনঅসন্তোষ সত্ত্বেও দফায় দফায় গ্যাস, তেল, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর মাধ্যমে জনভোগান্তি সৃষ্টি সত্ত্বেও সরকার আজ নির্বিকার দেশবাসীর এই বঞ্চনা ও নৈরাজ্যের অবসানে এরশাদের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে দেশবাসীর সমর্থন কামনা করেন ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান। সম্মিলিত জাতীয় জোটের প্রধান মুখপাত্র ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ.বি.এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ২৪ মার্চ ঢাকার সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে লক্ষ লক্ষ জনতার মহাসমাবেশের পর ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব এম এ মতিন আমাকে বলেন আপনারা চট্টগ্রামে আসুন, আপনাদের জন্য চমক আছে। তিনি আজ আমাদের সাবেক সফল রাষ্ট্রনায়ক পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে চমক দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আজকের এই লক্ষ লক্ষ জনতার উপস্থিতির জন্য ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান-মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানাই। আজকে চট্টলবাসী প্রমাণ করেছে, তারা পরিবর্তন চায়। পরিবর্তনের জন্য সম্মিলিত জাতীয় জোট।
সম্মিলিত জাতীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিন দেশের সূফিবাদি শান্তিকামী অধিকারহারা মানুষকে সম্মিলিত জাতীয় জোটের পতাকা তলে এসে রাষ্ট্র ক্ষমতায় পরিবর্তন আনার তাগিদ দেন। এম এ মতিন বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র চর্চা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি ও বিভেদের রাজনীতির বলি হচ্ছে দেশবাসী। আগামী জাতীয় নির্বাচন সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে না হলে দেশে আবারো অস্থিরতা-নৈরাজ্য তৈরি হবে। সকল পর্যায়ের নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে সরকারের আন্তরিকতা ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা জরুরি বলে এম এ মতিন উল্লেখ করেন। সম্মিলিত জাতীয় জোট আগামী নির্বাচনে চমক সৃষ্টি করবে উল্লেখ করে এম এ মতিন বলেন, দেশবাসী পরিবর্তন চায়, সাবেক সফল রাষ্ট্র নায়ক এরশাদকে পুনরায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চায়। দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সম্মিলিত জাতীয় জোটের বিকল্প নেই। এম এ মতিন বলেন, সর্বনাশা মাদকে পুরো দেশ সয়লাব, সম্ভাবনাময়ী যুব-তরুণরা মাদকের আগ্রাসনের শিকার হয়ে নিজেদের জীবনকে কলুষিত করে ফেলছে। মাদকের অবাধ বেচাকেনা থামাতে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর হাতে দায়িত্ব দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। সুন্নি মতাদর্শের আলোকে ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দেশবাসী আজ ইসলামী ফ্রন্টের প্রতি আস্থাশীল বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মহাসমাবেশে ইসলামী ফ্রন্ট সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ও জোটের কেন্দ্রীয় লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য মাওলানা স উ ম আবদুস সামাদ বলেন, চট্টগ্রামবাসী আজ উন্নয়ন বিড়ম্বনার শিকার। অপরিকল্পিত নামে নগরবাসীর দূর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে। সামনে আসছে বর্ষা। নগরবাসী আতঙ্কে । উন্নয়নের জোয়ারে নয়, কর্ণফুলীর জোয়ারে ভাসছে চট্টগ্রাম। সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা এবং যানজট-জলজটে নগরবাসীর অবস্থা কাহিল হয়ে উঠেছে। ধুলোবালি ও কংক্রিটের স্তুপে পরিণত হয়েছে নগরী। স উ ম আবদুস সামাদ বলেন, বন্দরে নিয়োগসহ সর্বক্ষেত্রে নিয়োগে চট্টগ্রামবাসী আজ উপেক্ষিত। সম্মিলিত জাতীয় জোটের শরিক বড় দল জাতীয় পার্টির দেশ পরিচালনায় অভিজ্ঞ পারদর্শী নেতৃত্ব এবং চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপি ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনার লক্ষ লক্ষ মেধাবী সুশৃঙ্খল কর্মীবাহিনীর সম্মিলিত জাতীয় জোট আগামীদিনে দেশ পরিচালনার ভার নিতে প্রস্তুত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সমাবেশে এরশাদ চট্টগ্রামের কোতয়ালি আসনের সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে জাতীয় জোটের প্রার্থী ঘোষণা করে ভোট চান। তিনি বলেন, বাবলু আগে ছিল ছেলে। এখন হয়েছে জামাই। সে আমার ভাগ্নি জামাই। গতবারও তাকে আপনারা জয়ী করেছেন। তাকে আপনারা আবারও ভোট দেবেন।
মহাসমাবেশে বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার এম.পি, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এম.পি, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এম.পি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিন, সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, মহাসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও জাতীয় পার্টি চট্টগ্রাম নগর আহ্বায়ক সোলায়মান আলম শেঠ, জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাসুদা এম রশিদ এম.পি, বিএনএ চেয়ারম্যান সেকান্দর আলী মনি, জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, মেজর (অব:) খালেদ আক্তার, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসমাবেশ সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও জোটের কেন্দ্রীয় লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য স উ ম আবদুস সামাদ, ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা মছিহুদ্দৌলা, মুফতি মুহাম্মদ ছাদেকুর রহমান হাশেমী, অধ্যক্ষ মুফতি আহমদ হোসাইন আলকাদেরী, মাওলানা আবু সুফিয়ান আবেদী আলকাদেরী,
বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী এম এ ওয়াহিদ সাবুরী, মাওলানা হারুনুর রশিদ রেজভী, জাপা ভাইস চেয়ারম্যান হাজী মো: ইলিয়াছ এম.পি, মাহজাবীন মোর্শেদ এম.পি, ইসলামী ফ্রন্ট যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যক্ষ জাফর মঈনুদ্দীন, অধ্যাপক এম এ মোমেন, সাংগঠনিক সচিব মাওলানা মাসুদ হোসাইন আলকাদেরী, বিভাগীয় সাংগঠনিক সচিব সৈয়দ মোজাফ্ফর আহমদ মোজাদ্দেদী, কাজী মুহাম্মদ সোলাইমান চৌধুরী, অধ্যক্ষ আলী মোহাম্মদ চৌধুরী, এডভোকেট ইসলাম উদ্দীন দুলাল, সম্মিলিত জাতীয় জোট বৃহত্তর চট্টগ্রাম মহাসমাবেশ সমন্বয় কমিটির সচিব নঈম উল ইসলাম, ইসলামী ফ্রন্টের মহাসমাবেশ সমন্বয় কমিটির সচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জাপা চেয়ারম্যানের শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, যুব বিষয়ক উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, দক্ষিণ জেলা জাপার সভাপতি শামসুল আলম মাস্টার, সাবেক এম.পি নজরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব দিদারুল আলম,
ইসলামী ফ্রন্ট মহানগর দক্ষিণ সভাপতি অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম জিহাদী, উত্তর জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা তৈয়্যব আলী, দক্ষিণ জেলা জাপা’র সাধারণ সম্পাদক নুুরুচ্ছফা সরকার, চট্টগ্রাম মহানগর সদস্য সচিব এয়াকুব হোসেন, দক্ষিণ জেলা ইসলামী ফ্রন্ট সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আবুল হোসাইন, উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক গোলামুর রহমান আশরফ শাহ্, মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন মাহমুদ, মহানগর দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আশরাফ হোসাইন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আকতার হোসেন চৌধুরী, বোয়ালখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক হক্কানী, চন্দনাইশ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সোলায়মান ফারুকী, পটিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ এয়ার মুহাম্মদ পেয়ারু, জাপা চট্টগ্রাম মহানগর নেতা কামাল উদ্দিন তালুকদার, আলহাজ্ব আবদুল্লাহ মিয়া, যুবসেনা সভাপতি ফিরোজ আলম খোকন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, ছাত্রসেনার সভাপতি এইচ.এম. শহিদুল্লাহ,
লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য জিএম শাহাদত হোসাইন মানিক, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুহাম্মদ খোবাইবসহ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টসহ জোটের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ, আবদুল মতিন, সৈয়দ মুহাম্মদ হোসেন, মাওলানা রেজাউল করিম তালুকদার, আবদুল হাকিম, আকতার হোসেন চৌধুরী, এসএফ প্রধান নুরুল হক চিশতী, আবু নাসের মুহাম্মদ মুছা, জসীম উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, মাস্টার মুহাম্মদ ইসমাইল, মাস্টার কমর উদ্দিন, নুরুল্লাহ রায়হান খান, নিজামুল করিম সুজন, ইমরান হোসেন তুষার, কাউসার আহমেদ রুবেল, মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, দিদারুল ইসলাম কাদেরী, মুহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, এম সাইফুল ইসলাম নেজামী, হাবিবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, মফিজুল ইসলাম, হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদ, মুহাম্মদ মাছুমুর রশীদ কাদেরী, মুহাম্মদ ফোরকান কাদেরী, সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী, নুরুল ইসলাম হিরু, মুহাম্মদ ইদ্রিস, ছাত্র সমাজ সভাপতি নজরুল ইসলাম, আতা-ই-তানভীর প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্মিলিত জাতীয় জোট কেন্দ্রীয় লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ও ইসলামী ফ্রন্ট যুগ্ম মহাসচিব স উ ম আবদুস সামাদ, জাতীয় পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর সদস্য সচিব মো: এয়াকুব হোসেন ও সমাবেশ সমন্বয় কমিটির সচিব ও মহানগর ইসলামী ফ্রন্ট উত্তর সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উল ইসলাম।