গাজীপুর ও খুলনা সিটিতে সেনা মোতায়েন চায় বিএনপি

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। পাশাপাশি কয়েকটি কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের কথা নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে বলা হয়েছে, তা-ও বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।

গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে ক্ষমতায় আছে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। আগামী ১৫ মে এ দুটি নির্বাচনের জন্য দলের প্রার্থীরা এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যে বিএনপি এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের প্রার্থীও ঘোষণা করবে।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সিটি নির্বাচনের প্রসঙ্গ টানেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এ সময় বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গত দুদিন নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিচ্ছে, গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে না। এমনকি ইলেকট্রনিক ভোটের মেশিন ব্যবহারে জনগণের আগ্রহ না থাকলেও নির্বাচন কমিশন অনেক সেন্টারে ইভিএম ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে।’

‘সুতরাং কমিশন আদৌ দুই সিটির নির্বাচন সুষ্ঠু চায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বক্তব্যে সরকারি ইচ্ছার প্রতিফলন দেখা যায়।’

গাজীপুর ও খুলনা সিটিতে এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি অভিযোগ করে রিজভী বলেন, সব দল সমান সুযোগ পাচ্ছে না। নির্বাচন সুষ্ঠু করার পূর্বশর্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তা করছে না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দুই সিটিতে সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে। তাদের হাতে হাতে বৈধ-অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি। বৈধ অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কমিশনের পক্ষ থেকে। দুই সিটিতে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা মিছিল করছে, মিটিং করছে; সমাবেশ করছে বীরদর্পে। অন্যদিকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সভা-সমাবেশ দূরের কথা, বাড়িতে ঘুমাতে পর্যন্ত পারছেন না।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারের দলীয় বাহিনীর মতো কাজ করছে। তাদের পক্ষে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভয়মুক্ত ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ভোটাররাও তাদের ওপর আস্থাশীল হতে পারবেন না।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রায় দুই মাস কারারুদ্ধ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রকৃত পরীক্ষা-নিরীক্ষা দ্বারা চিকিৎসা না দিয়ে সম্পূর্ণ প্রহসন করতে পিজি হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকরাও তাঁকে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ পায়নি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.