সিটিনিউজ ডেস্ক:: সংসদে দেওয়া কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন কোটা পদ্ধতি সংস্কারের পক্ষের আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়া বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে দেশ অচল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের’ যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান। একই সঙ্গে আগামী ৭ মের মধ্যে দাবি না মানলে ফের অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
রাশেদ খান বলেন, ‘আজ বিকেল ৫টার মধ্যে মতিয়া চৌধুরী ক্ষমা এবং বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে আমরা সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করব।’
গতকাল সোমবার সংসদে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘পরিষ্কার বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধ করেছি, মুক্তিযুদ্ধ চলছে, চলবে। এই রাজাকারের বাচ্চাদের অবশ্যই আমরা দেখে নেব।’ সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে বাসভবনে হামলা চালিয়ে উপাচার্যের গায়ে হাত দেওয়া, ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালানো, এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি জঘন্য অপরাধ। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের নামে সাধারণ ছাত্রদের ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে গতকাল এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এরা ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের উত্তরসূরি।’
আন্দোলনকারীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘আগামী ৭ মের মধ্যে সরকার আমাদের পাঁচ দফা দাবি না মানলে সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হবে।’
ভিসির বাসভবনে হামলাকারীরা বহিরাগত বলে দাবি করেন রাশেদ খান। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ নয়।’ তিনি হামলাকারী পুলিশের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।
নতুন কমিটি নিয়ে রাশেদ বলেন, ‘যারা নতুন কমিটি করেছে, তারা স্বার্থ হাসিলের জন্যই এ কমিটি করেছে। আমাদের ব্যানার ছাড়া কেউ যদি অন্য ব্যানারে আন্দোলন করে, তাদের আমরা প্রতিহত করব।’
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে সম্প্রতি ঢাকার শাহবাগে বিক্ষোভ শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও। সর্বশেষ সরকারের আশ্বাসে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।