জুবায়ের সিদ্দিকী : রাজনৈতিক দলের কর্মী হলেই অস্ত্রের লাইসেন্স মিলছে। বাছ বিচার ছাড়াই গনহারে দেওয়া হচ্ছে অস্ত্রের লাইসেন্স। এই সুযোগে সন্ত্রাসী, অপরাধী এমনকি রাস্তার লোকজনের অনেকেই রাজনৈতিক নেতা পরিচয়ে অস্ত্রের লাইসেন্স হাতিয়ে নিয়েছে। এই অবস্থায় এখন হাতে হাতে বৈধ অস্ত্র। এসব বৈধ অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে খুন খারাবি থেকে শুরু করে টেন্ডার বানিজ্য সহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স যাকে তাকে দেওয়া ভয়ঙ্কর সিন্ধান্ত।
এ ক্ষেত্রে সত্যিই সেই ব্যক্তি অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে তাদের অস্ত্র এবং গোলাবারুদ কেনা ও তা ব্যবহারের বিষয়েও কড়া জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা দরকার। না হলে বৈধ ব্যবহার করেই অপরাধ সংঘটিত হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যাকে তাকে অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে এ কথা ঠিক নয়। পুলিশের বিশেষ শাখার যাচাই বাছাইয়ের পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বন্দুকের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় সুত্রে জানা গেছে, ১৯৫২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কয়টি অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে তার প্রোফাইল তৈরী কাজ শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় একলাখ অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার হিসাব মিলেছে। এখনো ২০ হাজার বৈধ অস্ত্রের হিসাব মিলছে না। কোন সরকারের আমলেই নীতিমালা মেনে অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক তদবিরে যাকে তাকে দেওয়া হচ্ছে লাইসেন্স, যদিও মন্ত্রনালয় ও পুলিশ কর্মকর্তারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করছেন।