পাহাড়ে পানি,বিদ্যুৎ,গ্যাস সংযোগ দ্রুত বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিনিধি,চট্টগ্রাম : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, চট্টগ্রামে পাহাড়ে যারা অপরিকল্পিত ভাবে বসবাস করছে আগামী পনের দিনের মধ্যে তাদের নিরাপদ আশয়ে নিয়ে যেতে হবে। পাহাড় ধসে অনাকাঙ্খিত মৃত্যু আমরা আর দেখতে চাই না এই জন্য সরকারের এ অগ্রীম প্রস্তুতি । সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি স্থানীয়দের ও পাহাড় ধস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
মন্ত্রী আজ রোববার ২২ এপ্রিল চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত “পাহাড়ধস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও আগাম সতর্কতামুলক কার্যক্রম সম্পর্কিত ” কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ২০০৭ সালে ১ শত ২৭ জনের, ২০১৭ সালে ১ শত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ মৃত্যু একমাত্র স্থানীয় প্রভাবশালীদের জন্যই। তারা যত বড়ই হোক আমরা তা তোয়াক্কা করিনা। তাদের আমাদের কথা শুনতে হবে । না শুনলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।পাহাড়ে বসতি এলাকায় পানি, বিদ্যুৎ , গ্যাস সব ধরনের সংযোগ দ্রুত বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার আদেশ দেন মন্ত্রী।
এ জন্য সমন্বিতভাবে সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, জেলা প্রশাসন, বিদ্যুৎ বিভাগ সকলকে কাজ করার আহবান জানান ত্রাণমন্ত্রী।
কর্মশালায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, অতিরিক্ত সচিব মো. মহসীন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন শাহা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাসুদুল হাসান, সিভিল সার্জন ডা. মো. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী ও জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
পাহাড়ধস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং আগাম সতর্কতামুলক কার্যক্রম সম্পর্কিত কর্মশালা উপলক্ষে র্যালি বের করেছে জেলা প্রশাসন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া র্যালির উদ্বোধন করেন। নগরের সার্কিট হাউস থেকে র্যালিটি কাজীর দেউড়ি মোড় হয়ে কয়েকটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। র্যালিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে দরকার আগাম সতর্কতা, পাহাড়ের ঢালে বসতি না গড়ি, জীবন রক্ষায় সচেতন থাকি, পাহাড় কাটা বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ, পাহাড়ের ঢালে করবো না বাস, মৃত্যু ঝুঁকি হবে হ্রাস কর্মশালায় পাহাড়ধস সম্পর্কিত এসব ফেস্টুন প্রদর্শিত হয়।