চন্দনাইশে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া

0

গোলাম সরওয়ার,চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় রাজনৈতিক দলীয় ও অন্তকোন্দলের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। এসব অস্ত্র ব্যবহারে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে অহরহ। অনুসন্ধানে দেখা যায়,সরকারী দলের গ্রুপিং কোন্দলে ও আধিপত্য বিস্তারের সময় অস্ত্র ব্যবহার এবং গত ৪ এপ্রিল দিন দুপুরে প্রতিপক্ষের গুলিতে খুন হয় শ্রমিক লীগ নেতা নুরুল ইসলাম খোকা । খোকা মার্ডারে ব্যবহৃত সেই অস্ত্র উদ্ধারেও জোর চেষ্টা নেই পুলিশ প্রসাশনের।

এদিকে বিপদগামী তরুন ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় লালিত সন্ত্রাসীদের মধ্যে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বেশি হচ্ছে । জানা যায়, নৌপথে আনেয়ারা-কর্নফুলী উপকুলে হয়ে চন্দনাইশ উপজেলার আশপাশের বিভিন্ন ঘাটে জলপথে চোরাচালানের মাধ্যমে দেশের বাইরে থেকে আসা অস্ত্রের চালান খালাস হয়ে থাকে।

উপজেলা ভিত্ত্বিক মাঝারি নেতা, পাতি নেতা এলাকায় দাপট টিকিয়ে রাখতে ও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে তরুনদের হাতে তুলে দিচ্ছে এসব অস্ত্র। সুত্রে জানা যায়, এলাকার প্রভাবশালী নেতারা এসব তরুনদের পৃষ্টপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে। নানাভাবে কৌশলে ও গোপনে হস্তান্তর হচ্ছে এসব অস্ত্র। বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, মাইক্রো সহ নানা ধরনের যানবাহনে করে এসব অস্ত্র গন্তব্যে পৌছানো হচ্ছে। একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট এসব অস্ত্রের চালান মজুদ করছে । বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়,

বেশিরভাগই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে ঢুকছে। রাজনৈতিক পরিমন্ডলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ব্যবহার হচ্ছে এসব অবৈধ ভারী অস্ত্র। রাজনৈতিক দলের ক্যাডারদের হাতে হাতে অস্ত্র সরকারী দল থেকে বিরোধী দল সবার হাতে যাচ্ছে অনায়াসে। মানুষ খুন হচ্ছে, অথচ অপরাধীরা আটক হচ্ছে না। এদিকে সবচেয়ে বেহাল অবস্থা জেলা পুলিশের। আনোয়ারা, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া সহ বিভিন্ন থানাগুলোতে পুলিশের নিস্ক্রিয়তার কারনে, কোথাও আবার কথিত পুলিশের সহযোগিতার কারনে অবৈধ অস্ত্রের বানিজ্য বন্ধ হচ্ছে না।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.