সিটিনিউজ ডেস্ক:: খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের ১৯ কর্মীকে গ্রেফতার ও বাড়ি বাড়ি পুলিশের অভিযানের প্রতিবাদে বিএনপি মনোনিত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু তার নির্বাচনি কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছেন। গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তার নির্বাচনি কার্যক্রম স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ মে) সকাল পৌনে ৯টায় মহানগরীর মিয়া পাড়া রোডে অবস্থিত তার নিজ বাস ভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে মঞ্জু এ ঘোষণা দেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মঞ্জু বলেন, ‘এ নির্বাচনে বিএনপি কোনোভাবেই তার ময়দান থেকে সরবে না। নির্বাচনকে বিএনপি আন্দোলনের অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছে। নির্বাচনি কর্মকাণ্ডে বাধা ও অভিযানের প্রতিবাদ করবে বিএনপি। একইসঙ্গে কঠিন ও কঠোর কর্মসূচি পালন করবে। আগামী ৬ মে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আসবেন। তিনি আসার আগে এ সব কার্যক্রম বন্ধ না করা হলে তার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বর্জন করা হবে। প্রয়োজনে সরকার ও সিইসিকে কালোপতাকা প্রদর্শন করা হবে।’
উল্লেখ্য, বুধবার (২ মে) রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৫টা পর্যন্ত নগরজুড়ে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা অভিযানের নামে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার করে। অভিযানের নামে ধানের শিষ প্রতীকের প্রচারণায় সম্পৃক্ত মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসুদুজ্জামান মুরাদ, মহানগর যুবদলের সভাপতি মাহবুব হাসান পিয়ারু, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা তুহিনসহ ১৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মঞ্জু বলেন, ‘অসংখ্য নেতা-কর্মীর বাড়ি বাড়ি তল্লাশির নামে আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্বব্যহার করা হয়েছে। নির্বাচনের কাজে যুক্ত থাকলে ভয়াবহ পরিণতি হবে বলে গোয়েন্দা পুলিশ হুমকি দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির নির্বাচনি প্রচারণামূলক সব কার্যক্রম আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে স্থগিত ঘোষণা করা হল। গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখবে।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে মঞ্জু অভিযোগ করেন, ‘এই নির্বাচন নিয়ে সরকার ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচনে বিএনপির বিজয়কে বাধাগ্রস্ত করতে সরকার সব ধরণের চেষ্টা চালাবে বলে আমরা ইঙ্গিত পেয়েছি। গত বয়েকদিন ধরে আমরা খবর পেয়েছিলাম ৪ মে’র পর বিএনপিকে মাঠ নামতে দেওয়া হবে না। এই গ্রেফতার সে ষড়যন্ত্রের অংশ। খুলনায় এ নির্বাচনকে নিয়ে যখন মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ-উদ্দীপনা এবং প্রায় সাড়ে ৯ বছর পর একটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক তখনই এ ধরণের অভিযান সরকারের দুরভিসন্ধি। এ অভিযানের আগে একাধিক জায়গায় সরকারি দল ও প্রশাসনের গোপন বৈঠক হয়েছে।’