‘বঙ্গবন্ধু-১’ এর সফল উৎক্ষেপণে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে সফল উৎক্ষেপণের জন্য দেশবাসীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আজ শনিবার সকালে এক বার্তায় তিনি এ অভিনন্দন জানান।

আবদুল হামিদ বলেন, এ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করল। জাতি হিসেবে এটা অনেক গর্বের ও আনন্দের। তিনি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের স্থায়িত্ব কামনা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানভেরাল উৎেক্ষপণ মঞ্চ থেকে স্যাটেলাইটটি যাত্রা শুরু করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে তা পাঠানো হয়।

স্পেসএক্স জানিয়েছে, স্যাটেলাইটটির উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাত রাত ২টা ১৫ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে দেশের প্রথম স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে। বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইটের অভিজাত ক্লাবে নাম লেখাল বাংলাদেশ।

মার্কিন কোম্পানি স্পেসএক্সের সর্বাধুনিক রকেট ফ্যালকন-৯ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপ ক্যানভেরাল উৎক্ষেপণ মঞ্চ থেকে স্যাটেলাইটটি নিয়ে কক্ষপথের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।

ফ্লোরিডা থেকে উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষকারী তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমি আজকের দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করতে চাই, যিনি ১৯৭৪ সালে দেশের সর্ব প্রথম স্যাটেলাইট আর্থ স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে মহাকাশ যুগে প্রবেশের কার্যক্রমের সূচনা করেন।’ তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রযুক্তিকেন্দ্রিক উত্তরণের দৃষ্টান্ত।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু-১ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সময়োপযোগী উদ্যোগও যার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিশন রয়েছে।’

মহাকাশের ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমায় থেকে উপগ্রহটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আবহাওয়া পূর্বাভাস এবং পর্যবেক্ষণে দেশের সক্ষমতা সম্প্রসারিত করবে। উপগ্রহটি থেকে সার্কভুক্ত দেশগুলোর পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মিয়ানমার, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং কাজাকিস্তানের একটি অংশ এর সুযোগ নিতে পারবে।

এই স্যাটেলাইট প্রথমে ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর উৎক্ষেপণের কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ইরমার কারণে এর উৎক্ষেপণ স্থগিত করা হয়।

বঙ্গবন্ধু-১ এর ফলে ডাইরেক্ট-টু-হোম (ডিটিএইচ) ভিডিও সার্ভিস, ই-লার্নিং, টেলি-মেডিসিন, পরিবার পরিকল্পনা, কৃষি খাতসহ দুর্যোগ উদ্ধারে ভয়েস সার্ভিসের জন্য সেলুলার নেটওয়ার্কের কার্যক্রম এবং এসসিএডিএ, এওএইচওর ডাটা সার্ভিসের পাশাপাশি বিজনেস-টু-বিজনেস (ভিসেট) পরিচালনায় আরো সহজতর করবে।

বিটিআরসি ২০১৫ সালের নভেম্বরে দেশের প্রথম এ স্যাটেলাইট নির্মাণের জন্য ফ্রান্সের থালেস এলিনিয়া স্পেস ফ্যাসিলিটিস কোম্পানির সঙ্গে ২৪৮ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে। কোম্পানিটি কয়েক মাস আগে স্যাটেলাইটটির তৈরির কাজ সম্পন্নের পর এটি ফ্রান্সের ক্যানেস ওয়্যারহাউসে রাখা হয়। পরে ২৯ মার্চ এ স্যাটেলাইট ফ্লোরিডায় স্থানান্তর করা হয়।

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য বাংলাদেশ ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে রাশিয়ার স্যাটেলাইট প্রতিষ্ঠান ‘ইন্টারস্পুটনিক’ এর কাছ থেকে দুই কোটি ৮০ লাখ ডলারে ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমায় (স্লট) কক্ষপথ স্লট ক্রয় করে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.