জাফরুল্লাহকে কড়া হুঁশিয়ারি আদালতের

0

সিটিনিউজবিডি : আদালত অবমাননার মামলায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে কঠোরভাবে সতর্ক করে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যর বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রায় দেন।
ট্রাইব্যুনালে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পক্ষে আওয়ামীপন্থী আইনজীবী এ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ ও তাপস কান্তি বল।

আবেদনের পক্ষে ছিলেন খান মো. শামীম আজিজ ও মোরশেদ আহমেদ খান।এর আগে ৯ আগস্ট বিচারকদের নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

১২ জুলাই বিচারকদের নিয়ে কটূক্তি করায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে ট্রাইব্যুনালে স্বশরীরে হাজির হয়ে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

এর আগেও আদালত অবমাননার দায়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে আসামির কাঠগড়ায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার দণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন ট্রাইব্যুনাল।

৬ জুলাই গণজাগরণ মঞ্চের একাংশ ও তিন মুক্তিযোদ্ধা এবং ট্রাইব্যুনাল-২ এর তিন বিচারককে ‘মানসিক অসুস্থ’ বলায় জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।

গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের আহ্বায়ক কামাল পাশা চৌধুরী, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, মুক্তিযোদ্ধা আলী আসগর, মুক্তিযোদ্ধা শেখ নজরুল ইসলাম এবং গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী এফএম শাহীন ট্রাইব্যুনালে এ আবেদন করেন।

১০ জুন আদালত অবমাননার দায়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে এক ঘণ্টা কারাদণ্ড (এজলাস কক্ষে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা) এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে একমাসের কারাদণ্ড সাজা দেন ট্রাইব্যুনাল-২।

পরে ট্রাইব্যুনাল থেকে বাইরে বের হয়ে ডা. জাফরুল্লাহ তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রায়কে তিনজন বিচারকের ‘মানসিক অসুস্থতার প্রমাণ’ বলে মন্তব্য করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.