পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামলেন স্বয়ং ডিসি

0

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিটি নিউজ :: নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে এবার মাঠে নেমেছেন স্বয়ং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক। বৃহস্পতিবার (১৭ মে) বিকেলে তিনি রেয়াজউদ্দিন বাজারে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন। অভিযানকালে জেলা প্রশাসক অতিরিক্ত মূল্য না রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেন।

তবে অভিযোগ উঠেছে, অভিযানের সময় পণ্যের দাম কম থাকে। অভিযান শেষ হলেই ব্যবসায়ীরা আবার বেশি দামে পণ্য বিক্রি করেন।

এ বিষয়ে এক ক্রেতা বলেন, অভিযান যতক্ষণ দামও ঠিক থাকে ততক্ষণ। এছাড়া পণ্যের মূল্য তালিকাও দোকানের সামনে টাঙানো থাকে না। শুধুমাত্র ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখানোর জন্যই তারা পণ্যের মূল্য তালিকা নিজেদের কাছে রাখেন। রেয়াজউদ্দিন বাজার ছাড়াও গতকাল দিনের বিভিন্ন সময়ে আতুরার ডিপু বাজার, কর্ণফুলী মার্কেট, পাহাড়তলী বাজার, কর্র্নেলহাট বাজার এবং কাজির দেউরি বাজারে অভিযান চালানো হয়েছে।

রেয়াজউদ্দিন বাজারে মূল্য তালিকা না টাঙানোয় এক মুদি দোকানদারকে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।

এসময় তিনি সবজির বাজার, মাছ, মাংস, মুরগি এবং মুদির দোকানে ঘুরে পণ্যের দাম যাচাই করেন। দোকানের মূল্য তালিকা টাঙানো এবং বাজারে যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয় এ ব্যাপারে তিনি ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন।

অভিযান শেষে তিনি আরো বলেন, গরুর মাংস ও মুরগির দাম যাতে না বাড়ে সেজন্য বিক্রেতাদের সতর্ক করেছি। বেগুন, কাঁচা মরিচ ও ছোলার দাম যাতে সহনশীল থাকে সেটাও বলেছি। কেউ যদি আড়ত থেকে কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করে তাহলে আমরা অ্যাকশনে যাব।

এছাড়া গতকাল বিকেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে নগরীর কাজীর দেউরি বাজারে অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে তিনি দেখতে পান রেয়াজুদ্দিন বাজারের তুলনায় কাজীর দেউরি বাজারে পণ্যের দাম বেশি। এসময় প্রতি কেজি ৭০ টাকা দরে বেগুন, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, শসা ৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা, সোনালি ৩১০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৫০–১৬০ টাকায় বিক্রি করছিল বিক্রেতারা। চড়া দামে বেগুন বিক্রির করার দায়ে একটি সবজির দোকানকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি।

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, রেয়াজুদ্দিন বাজারে ৩০–৩৫ টাকার বেগুন কাজীর দেউরি বাজারে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রতিটি দোকানে অবশ্যই ক্রয়মূল্য ও বিক্রয় মূল্যের তালিকা থাকতে হবে।

এদিকে নগরীর আতুরার ডিপো এবং কর্নেলহাট বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা ইসলাম। অভিযান পরিচালনাকালে মূল্য তালিক প্রদর্শন না করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৩৮ ধারায় তিনজন দোকানদারকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি। এছাড়া নগরীর পাহাড়তলি বাজারে অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিবেদিতা চাকমা।

এসময় তিনি ভেজাল ঘি, পণ্যের মূল্য তালিকা না থাকা এবং ওজনে কম দেয়ার অপরাধে বিএসটি অধ্যাদেশ এবং ভোক্তা অধিকার আইনে ৭টি মামলায় মোট ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ক্যাব প্রতিনিধি এবং বিএসটিআই এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে নগরীর কর্নেল হাট এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওশের ইবনে হালিমের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে ওজনে কম দেয়ায় এক মুরগী দোকানদারকে এক হাজার টাকা এবং ভেজাল পণ্য মজুদের দায়ে অপর একজনকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.