সিটিনিউজ ডেস্ক:: আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির দাবি অনুযায়ী সেনাবাহিনী মোতায়েন হবে জানিয়ে ভোটে অংশ নিতে দলটির প্রতি আকুল আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি কে এম নুরুল হুদা।
তবে কোনো দলকে ভোটে আসতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়ার সুযোগ নেই বলে আবার জানিয়েছেন সিইসি। জানান, তারা ব্যালটের বদলে ভোট নিতে চান ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন, ইভিএমে।
বুধবার দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউজে ইভিএম এর ওপর প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে এসব কথা বলেন নুরুল হুদা।
২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে ভোটে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েনসহ নানা দাবি জানিয়েছে। দলটি মনে করে সেনাবাহিনী থাকলে কারচুপি করা সম্ভব হবে না।
বিএনপির সেনা মোতায়েন বিষয়ে দাবি পূরণ হলেও ইভিএম বিষয়ে দলটির আপত্তি গুরুত্ব পাচ্ছে না নির্বাচন কমিশনের কাছে। সিইসি জানান, সনাতন পদ্ধতিতে ভোটে নানা ঝামেলা হয়। তাই প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে চান তারা।
সিইসি বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। তবে সেটা আমাদের সাথে কমিশনের সাথে আলোচনা করতে হবে।’
তবে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রংপুর এবং খুলনার ধারাবাহিকতায় আগামী ২৬ জুন গাজীপুর এবং ৩০ জুলাই রাজশাহী, বরিশাল এবং সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়নের কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়ে দেন সিইসি।
স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিলেও জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ এখনও অনিশ্চিত। আর গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়া বর্তমান নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে ভোটে নিয়ে আসা।
তবে কোনো দলকে ভোটে নিয়ে আসা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নয়। আর এ বিষয়ে কমিশনের উদ্যোগ নেয়ার সুযোগ নেই আগে দেয়া বক্তব্যই আবার তুলে ধরেন সিইসি।
‘জাতীয় নির্বাচনে আমরা আলাদা কোন উদ্যোগ নিতে পারবো না কোন বিশেষ দলের জন্য। আমরা আকুল আহ্বান জানাই এবং সব সময় জানিয়েছি যেন সকল দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। যাতে নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হয়।’
‘বিএনপি নির্বাচনে আসবে এটা আমরা প্রত্যাশা করি। কিন্তু কোন দল নির্বাচনে আসবে কি আসবে না তা নিয়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহণের সুযোগ আমাদের নেই।’